আগাছানাশকে ধানক্ষেত বিনষ্টের অভিযোগ দরিদ্র কৃষকের
চলনবিলের সিংড়া উপজেলার তাজপুর গ্রামের এক হতদরিদ্র কৃষকের দুই বিঘা জমির মিনিকেট ধান আগাছানাশক ছিটিয়ে বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসেও একই জমির উৎপাদিত শস্য রাতের আঁধারে আগাছানাশক ছিটিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছিল।
এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান দরিদ্র কৃষক মোফাজ্জল হোসেন। এ ঘটনায় তিনি বৃহস্পতিবার সিংড়া থানায় একটি জিডি করেছেন। অতিকষ্টের উৎপাদিত ফসল পুড়িয়ে দেয়ায় দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কর্জ করে নেয়া টাকা নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন এ কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই পরিবারের সদস্যরা এখন দিশেহারা হয়ে প্রলাপ বকছেন। রাতের আঁধারে আগাছানাশক দেওয়ায় গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মোফাজ্জল হোসেন জানান, তার পরিবার এই একমাত্র জমির উৎপাদিত ফসল দিয়ে সারাবছর অতিকষ্টে জীবন যাপন করে। কিন্তু পর পর দুই বার রাতের আঁধারে আগাছানাশক ছিটিয়ে তার ক্ষেতের শস্য ও ধান বিনষ্ট করায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। সামনের মাসে ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু রাতে কে বা কারা একমাত্র সম্বল দুই বিঘা জমিতে আগাছানাশক ছিটিয়ে দেয়ায় সব ধানগাছ পুড়ে গেছে। এখন ঘরে তার খাবারের যোগান নেই। অতিকষ্টের উৎপাদিত ফসল পুড়িয়ে দেয়ায় দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কর্জ করে নেয়া টাকা নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন।
প্রতিবেশী কৃষক আব্দুল জোব্বার সরদার ও শহিদুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এলাকার একজন হতদরিদ্র। পর পর দুইবার তার জমির শস্য বিনষ্ট করায় পরিবার নিয়ে কষ্টে রয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস.এম আব্দুল্লাহেল কাফী জমি পরিদর্শন করে জানান, আগাছানাশক ছিটিয়ে দেওয়ার কারণে ধানগুলো বিনষ্ট হয়ে গেছে।
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কৃষক মোফাজ্জল হোসেনকে পানি ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-এ-আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১এপ্রিল/পিএল)