ওয়েলকেয়ার গ্রীনসিটির বিরুদ্ধে ‘প্রতারণার’ অভিযোগ

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২১, ২৩:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর অন্যতম অভিজাত এলাকা বারিধারা থেকে চার কিলোমিটারের মধ্যে কাঠাপ্রতি মাত্র চার-পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে আবাসিক এলাকায় প্লট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে প্লট বুকিং দিলেই নানা পুরস্কারের লোভনীয় প্রস্তাব।

অথচ বালু নদীর ওপারে ওয়েলকেয়ার গ্রীনসিটি নামের ওই প্রকল্পের পাশেই জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে প্রতি কাঠা জমি ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, ম্যাপ দেখিয়ে জমি বিক্রি শুরু করলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির নেই রাজউকের অনুমোদন বা পরিবেশ ছাড়পত্র। কিন্তু প্রকল্পের নামে ছাপানো আকর্ষণীয় একাধিক প্রচারপত্রে বড় করে লেখা হয়েছে রাজউক ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধনকৃত প্রকল্প।

 ব্রুশিয়রে দেখা যায়, তাতে ঝাপসা করে ছাপানো হয়েছে রাজউক কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদের ছবি, যা ওই প্রকল্পের নিবন্ধনের প্রমাণ নয় বলে অভিযোগ।

ওই সনদের মধ্যে লেখা রয়েছে, ‘এই নিবন্ধীকরণ/ তালিকাভুক্তি কোনোক্রমেই প্রকল্পের অনুমোদন বোঝায় না এবং প্রকল্পের অনুমোদন ব্যতীত প্রকল্পসংক্রান্ত কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন, পত্র-পত্রিকা, সাইনবোর্ড/ বিলবোর্ড বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার প্রচারণা চালানো যাবে না। এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কার্যক্রম গ্রহণ করলে কর্তৃপক্ষ অত্র নিবন্ধন বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।‘

এই সনদের ছবি দেখিয়েই ওয়েলকেয়ার সিটি গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।

বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বালু নদীর ওপারে পূর্বাচল নিউ টাউনের কাছে ও জলসিঁড়ি আর্মি হাউজিংয়ের ঠিক পাশেই লোকেশন দেখিয়ে বাজারমূল্যের ১০ ভাগের কম মূল্যে জমি বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে ওয়েলকেয়ার গ্রিনসিটি নামের প্রতিষ্ঠানটি। মেলায় প্রতি কাঠা জমির মূল্য চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভিআইপি ব্লকে দাম ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। মেলা উপলক্ষে ৫০ শতাংশ মূল্যহ্রাসসহ হরেক মূল্যবান পুরস্কারের অফার ঘোষণা করা হয়েছে।

একদল ক্রেতার অভিযোগ, প্রকল্পে গেলে রাজউক অনুমোদন বা পরিবেশ ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি ওয়েলকেয়ার গ্রিনসিটির লোকজন।

তবে প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার মাহবুব হোসেন দাবি করেন, তাদের সব অনুমোদন আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওয়েলকেয়ার গ্রিনসিটি যে জমি আবাসিক প্লট হিসেবে বিক্রি করছে তার অধিকাংশ জলাধার ও কৃষিজমি।

(ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/কারই/মোআ)