বিধি-নিষেধে যেমন আছেন বারেকরা
মাঝবয়সী আবদুল বারিক ঢাকার খিলগাঁও থানার শেখেরজায়গা গ্রামের চায়ের দোকানদার। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলায়। ঢাকায় থাকেন প্রায় ১৫ বছর ধরে। তিন ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার তার।
লকডাউনে আবদুল বারিকের মত অনেক ক্ষুদে ব্যবসায়ী পড়েছেন সঙ্কটে। বিশেষ করে যারা রোজকার আয়ের ওপর নির্ভরশীল।
আবদুল বারিক জানালেন, চার হাজার টাকায় একটি ঘর ভাড়া করে থাকেন তারা। জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন দোকানদারি। সাধারণত দোকানে প্রতিদিন চা-সিগারেট বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার। এ থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ লাভ হতো তার। তবে লকডাউনের কারণে বিক্রি অনেক কমে গেছে। দুই থেকে তিন হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয় না। ঠিকমত দোকানও খুলতে পারছেন না।
তিনি জানান, আগে প্রতিদিন সকাল ৭টার দিকে দোকান খুলতেন। বন্ধ করতেন রাত ১১টায়। এখন সকাল ৭টার দিকে দোকান খুললেও বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করে দেয়। ফলে আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না।
আবদুল বারিক বলেন, আমার বাবা-মা এখনও জীবিত। তারা থাকেন দিনাজপুরে। আমি আমার স্ত্রী ও তিন ছেলে নিয়ে ঢাকায় থাকি। দুই ছেলে চাকরি করে। একজন পড়াশুনা করছে। আমি যে টাকা আয় করি সেখান থেকে আমার বাবা-মাকে খরচ দিতে হয়। আমার দুই ছেলে চাকরি করত, তারা এখন চাকরি করতে পারছে না। ফলে আমার সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এএ/কেআর)