সড়কে চলছে স্বেচ্ছাচারিতা, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৪৪ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ। তবুও সড়কে গাড়ির চাপ ছিল চোখে পরার মতো। গতদিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ ছিল তীব্র। ফলে অনেক সড়কের মোড়ে দেখা দেয় যানজট। আর ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ছিলেন গাড়ির জট নিয়ন্ত্রণের ভূমিকায়। সড়কে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের বিধি-নিষেধ সত্ত্বেও অবাধে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অ্যাপেচালিত মোটরসাইকেল ও রিকশা। যদিও সরকারের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী অ্যাপে চালিত মোটরসাইকেল বন্ধ রাখা হয়েছে তবুও রাস্তা থেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন এসব বাইকাররা।

গণপরিবহন না থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা গণপরিবহনের ভূমিকা পালন করছে। একাধিক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে এসব বাহনে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ৪ থেকে ৫ জন যাত্রী তুলে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটছেনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। ফলে নিজস্ব পরিবহন ও অটোরিকশার কারণে অতিরিক্ত যানজট দেখা গেছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুড়িল বিশ্বরোড থেকে লা মেরিয়ান এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা যায়। 

আবদুল জব্বার নামে এক জন জানান, বেলা ১১টায় তিনি কুড়িল বিশ্বরোড থেকে অটোরিকশায় ওঠেন। কিন্তু নতুন বাজার পৌছতে তার বেলা ১টা বেজে যায়।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, আমরা পরিস্থিতির শিকার। আমাদের তো অফিসে যেতে হবে। এদিকে রাস্তায় কোনো গণপরিবহন নেই। এখন আমরা কী করতে পারি। আমাদের এক প্রকার বাধ্য হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চলাচল করতে হচ্ছে।

অ্যাপচালিত বাইকাররা বলেন, আমাদের তো পরিবার আছে। আমরা কী করব। রাস্তায় বের হলেই প্রতিটা যায়গায় পুলিশ ধরছে। চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের কী খাওয়াবো? কেমন করে চলবে আমাদের পরিবার। কিভাবে বাসা ভাড়া দেব? সরকার যদি আমাদের দায়িত্ব নেয়, তাহলে আমরা সরকারের দেয়া কঠোর নির্দেশনা মেনে নেব। এমনকি ঘরের বাইরেও বের হব না।

এদিকে অবাধে চলছে ফুটপাতের দোকানগুলো। ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল লক্ষণীয়। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, আমরা কী করব। আমাদেরও তো সংসার আছে। গতবছরের লকডাউনে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে আমাদের। দেনার দায়ে ডুবে আছি। এবারের লকডাউনে আমাদের বেঁচাবিক্রি একদমই কমে গেছে। কিভাবে দেনা শোধ করবো। কিভাবে পরিবারকে নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা।

(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/আরকে/এআর/কেআর)