‘করোনায় নয়, না খাইয়াই মারা যামু’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৫:২৯ | প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৫:১৮

করোনাভাইরাসের ভয়ের চাইতে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশি বিপাকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন বুটিকস শ্রমিকরা। বিধি-নিষেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না এলে না খেয়ে মারা যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টোকিং স্কয়ারের সামনে ‘বাংলাদেশ বুটিকস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন’ এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে শ্রমিকরা এ কথা বলেন।

শ্রমিকরা জানান, বুটিকস প্রতিষ্ঠানগুলোতে তৈরি পোশাক সারাদেশের বিপণিবিতানগুলোতে বিক্রি হয়। বিপণিবিতান বন্ধ থাকলে বুটিকস শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পড়েন। গতবছর রমজানে লকডাউনের কারণে এ খাতটি বিশাল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের হাজার হাজার বুটিকস শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের দিকে তাকিয়ে চলমান অবস্থা ও লকডাউনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অ্যাসোসিয়েশনটির একজন সদস্য আনিসুর রহমান। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি লকডাউন তুলে নিক। মার্কেট খুলে দিক। দোকান মালিকরা দোকান খুলুক। তাদের দিয়ে আমরা, আমাদের দিয়ে তারা। দোকান মালিকরা ব্যবসা করতে পারলে আমরা টাকা পাব। কর্মচারীদের চালাতে পারব, আমরা চলত পারব। নইলে করোনায় মারা যামু কি, এমনিই না খাইয়া মারা যামু।’

গতবছরের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেননি দাবি করে তিনি বলেন, ‘গতবছর লকডাউনের জন্য আমাদের ব্যবসা হয়নি। আমরা বছরে একটা মাস সিজন পাই। এই রমজান মাসেই আমাদের ব্যবসা হয়। একটা মাসের জন্য আমাদের অনেক আয়োজন থাকে। লোন করে রাখছি। এখন আমরা ব্যবসার মুখ দেখব। সেই সময় লকডাউন। এখন আমরা যাব কোথায়? কারখানা ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন কোথা থেকে দেব? আমরা চলব কিভাবে?’

বাংলাদেশ বুটিকস ম্যানুফেকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। যাদের সবাই এ মুহূর্তে বেকার হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

সকালে টোকিও স্কয়ারের সামনে মানবন্ধন শুরু হলেও বেলা ১২টায় আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি রিং রোড হয়ে শ্যামলি পৌঁছায়। সেখানে মিরপুর রোড বন্ধ করে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেন বুটিকস শ্রমিকরা। তবে পুলিশি বাধায় তারা সেখানে অবস্থান করতে পারেননি। সেখান থেকে পুরনায় মিছিল নিয়ে রিং রোড শম্পা মার্কেট এলাকায় এসে বুটিকস শ্রমিকদের কর্মসূচি শেষ হয়।

(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/কারই/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :