‘পুরো ঢাকাকে হাসপাতাল বানালেও সামাল দেয়া যাবে না’

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৩ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে পুরো ঢাকা শহরকে হাসপাতাল বানানো হলেও মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না।’

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

মহাখালী কাঁচাবাজারের স্থাপনায় ওই হাসপাতালটি চালু করা হচ্ছে। এত দিন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা এই মার্কেটটি করোনার আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন করোনা হাসপাতাল চালু হলে বিদেশগামীদের জন্য এক পাশে পৃথকভাবে জায়গা রাখা হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘যারা করোনা টিকা নিয়েছেন, তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, যারা কক্সবাজার-বান্দরবান গেছেন এবং বিয়ে-শাদীসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তারা বেশি সংক্রমিত হয়েছেন। এখন তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের সংক্রমিত করেছেন। সর্বোপরি সমাজকে করোনা সংক্রমিত করেছেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের জনগণের জন্যই লকডাউন। আমি আশা করি, জনগণ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবেন। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে, জনগণ সচেতন হচ্ছে। তবে সতর্ক না হলে মনে রাখতে হবে, পাঁচ হাজার শয্যার পর হাসপাতালগুলোতে এক ইঞ্চি জায়গা নেই আর শয্যা স্থাপনের।’

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগেও করোনা সংক্রমণের হার ৬০০ এর মধ্যে নেমে এসেছিল। মৃত্যুর হারও অনেক কমে গিয়েছিল। এখন মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১২ গুণ বেড়েছে। এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত লকডাউন সবাইকে মেনে চলতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক বছর ধরে মহাখালী কাঁচাবাজারের ওই স্থাপনা ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করত। পাশাপাশি এই সেন্টারে বিদেশগামী মানুষদের করোনা পরীক্ষা করা হতো। এখন এই স্থাপনাটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। এখানে ২০০টির বেশি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হচ্ছে। একসঙ্গে এক হাজার ২০০ বেশি মানুষ করোনা চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির বলেন, ‘আশা করি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ২৫০টি শয্যা এবং কিছু আইসিইউ শয্যা চালু করতে পারব। মাসের শেষদিকে প্রায় পূর্ণাঙ্গভাবে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করবে।’

এ কে এম নাসির বলেন, ‘এই হাসপাতালে শুধু করোনা চিকিৎসা দেয়া হবে। এখানে কোনো অপারেশন করা হবে না। কারও অপারেশন দরকার হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করানো হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/বিইউ/এমআর)