সালথায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, আটক ৮

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৮ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৩৮

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের সালথায় গুজব ছড়িয়ে হামলা ও অগ্নিংসংযোগের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। মামলা ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ তিন থেকে চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

এদিকে ওই হামলায় ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। 

সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জমান জানান, ওই ঘটনায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট জনকে আটক করা হয়েছে। মামলাটি করেন সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমান।

করোনার বিস্তার রোধে সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধের প্রথম দিন ৫ এপ্রিল ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিভিন্ন সরকারি স্থপনায় হামলা ও অগ্নিসযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গেলে ঘটনার সূত্রপাত।  

সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা চত্বরে লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের গাড়ি, তিনটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

হামলাকারীরা তিন ঘণ্টাব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তাদের এই হামলা থেকে রক্ষা পায়নি উপজেলা কমপ্লেক্সের গাছপালা ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ নানা স্থাপনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সালথা থানা পুলিশের পাশা-পাশি ফরিদপুর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা ও নগরকান্দা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা ৫৮৮ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস গান, ২২ টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছোড়ে।

এসময় আইশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ সদস্যসহ আহত হন কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি। আহতদের মধ্যে স্থানীয় রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আশরাফ আলীর ছেলে হাফেজ জুবায়ের হোসেন (২০) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ।

(ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/কেআর)