আবারও আন্দোলনে রাইড শেয়ারিং চালকরা

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৪:০৪ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৫:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গণপরিবহনের মতো রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরবাইক চালকদের ওপর সরকারে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর মগবাজারে সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা। 

বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক ঘণ্টারও বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ তাদের লাঠি চার্জ করে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। 

রাইড শেয়ারিং চালকদের দাবি, লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বলবৎ রয়েছে অ্যাপ ও চুক্তিভিত্তিক মোটরবাইক চালকদের ওপর। যে কারণে বাইক নিয়ে রাস্তায় নামলেই পুলিশের মামলার শিকার হচ্ছেন তারা।

অ্যাপের পাশপাশি চুক্তিতে মোটরবাইক চালান এমন একজন ঢাকটাইমসকে বলেন, রাজধানীতে আমরা হাজার হাজার চালক অ্যাপের মাধ্যমে বাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। কিন্তু সরকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের পরিবার নিয়ে পথে বসার অবস্থা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নামে পাঠাও চালক বলেন, আমরা সকালে গাড়ি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করছিলাম। কিন্তু সার্জেন্ট আমাদের থামিয়ে অযথা মামলা দিচ্ছে। এক  হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকার পর্যন্ত মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, মামলা দেয়ার আগে পুলিশ আমাদের কাছে ঘুষ চায়। ওই ঘুষ দিতে অস্বীকর করলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়।

কামরুল নামের এক চালক বলেন, কয়েকদিন অ্যাপ বন্ধ থাকায় আমরা চুক্তিতেও চালাতে পারছি না মামলার ভয়ে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। মামলা করছে। এখন গাড়ি না চালাতে পারলে আমরা খাবো কী? পরিবার নিয়ে যাবো কোথায়?

গত ৪ এপ্রিল সরকার গণপরিবহন ও রাইড শেয়ারিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে কয়েক দফা আন্দোলনে নামে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের এই মোটরবাইক চালকরা। এ সময় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে রাখে তারা।

এ সময় রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোক্তার সরদার এসে রাইডিং শেয়ার চালকদের রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করেন।পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ মোটরবাইক চালকদের রাস্তা থেকে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেন। 

তিনি বলেন, আপনাদের অনুরোধ করছি। আপনারা পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাস্তা ছেড়ে দিন। না হলে আমরা বাধ্য হবো রাস্তা খালি করতে। 

পরে পুলিশ মোটরবাইক চালকদের লাঠি চার্জ করে রাস্তা থেকে তুলে দেন। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার  মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, তাদের দাবি ছিল অযোৗক্তি। আমরা প্রথমে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা রাস্তা ছাড়েনি। পরে আমরা পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে রাস্তা থেকে তাদের অপসারন করেছি।  

(ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/এসআর/এএ/কেআর)