শিশুবক্তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে আটক শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গাছায় একটি ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় মামলাটি করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-জিএমপির গাছা থানায় র্যাব বাদি হয়ে মামলা করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৮ ও ৩১ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন; তথ্য উপাত্ত ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটনানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা থেকে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত মো. রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে র্যাব।
তারা জানায়, প্রাথমিকভাবে রফিকুলের ফোন তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। এছাড়া আসমা বেগম নামের এক নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি। সেই নারী সম্পর্কে তার ভাবির চাচাতো বোন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি বিয়ে করলেও পরিবারের কেউ তা জানতেন না।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে রফিকুল ইসলামকে আটক করেছিল পুলিশ। অবশ্য রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। থাকেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।
(ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/এসএস/কেআর)