মিয়ানমারের লন্ডন রাষ্ট্রদূতকে দূতাবাসে প্রবেশে বাধা

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩৬ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মিয়ানমারের লন্ডন দূত কিউ জাওয়ার মিনকে দূতাবাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ফলস্বরূপ সারারাত তিনি নিজের গাড়িতে কাটিয়েছেন। গত মার্চ মাসে মিয়ানমারের এই রাষ্ট্রদূত দেশটির স্টেট কাউন্সিলের অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন।

বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার রাতে মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠরা স্টাফদের দূতবাস ত্যাগ করতে বলে। মিয়ানমারের এই লন্ডন রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়,‘তিনি আর মিয়ানমারের প্রতিনিধি নন।’

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিসহ তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতৃত্বস্থানীয় ২০ এর অধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে তারা জরুরি অবস্থা জারি করে। কিন্তু মিয়ানমারের সাধারণ জনতা সামরিক শাসন প্রত্যাখান করে এর বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করে।

প্রতিবাদ ঠেকাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৮৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবারও সামরিক জান্তার আদেশ অমান্য করে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে গণতন্ত্রপন্থীরা। এদিন গুলিতে সাত বিক্ষোভকারী নিহত হয়। 

মিয়নামারের লন্ডন রাষ্ট্রদূত বুধবার রাতের ঘটনাকে ‘ লন্ডনে এক ধরনের অভ্যুত্থান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মিয়ানমারের ওই রাষ্ট্রদূত রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে জানান, তিনি তালাবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।  

বিবিসির নিউজে দেখা যায়, মিয়ানমারের এই যুক্তরাজ্য রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে লন্ডন মেট্রপলিটন পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে অবস্থানরত পুলিশ বারবার স্টাফদের ভবনে ঢুকতে নিষেধ করছিল। রাষ্ট্রদূতকে তালাবন্দী করা হয়েছে এমন খবরে মিয়ানমারের যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের বাইরে জড়ো হন।

এর আগে গত মার্চ মাসে মিয়ানমারের এই লন্ডন রাষ্ট্রদূত অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন। বিবিসি নিউজকে ওই সময় তিনি ‘মিয়ানমার বিভক্ত হয়ে গেছে’ উল্লেখ করে দেশে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। এই মন্তব্যের মাধ্যমে কিউ জাওয়ার মিন দেশের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা করছেন না’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করছেন বলে জানিয়েছিলেন  

লন্ডনের এই রাষ্ট্রদূত সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল ছিলেন। সু চির মুক্তি দাবি করার পর বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোমিনিক র‌্যাব তার সাহস এবং দেশপ্রেমের প্রশংসা করেন।    

কূটনৈতিকদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনের উপ-রাষ্ট্র চিট উইনকে ডি-অ্যাফেয়ার্স তথা লন্ডন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, কূটনৈতিক প্রটোকোলের মাধ্যমে তারা মিয়ানমারের লন্ডন দূতের বর্তমান স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/কেআই)