‘কারোনাকালে বীমা কমিশন এজেন্টদের প্রণোদনা দিতে হবে’
প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৬:০২ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ২০:০৪
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে বীমা কমিশন এজেন্টরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম নূরুজ্জামান। এজন্য তিনি এসব এজেন্টদের প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান।
এস এম নূরুজ্জামান বলেন, ‘মহামারী করোনা ও সরকারঘোষিত নিধিনিষেধে বীমা খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ফিন্যান্সশিয়াল অ্যাসোসিয়েটরা (আর্থিক সহযোগী) অর্থাৎ যারা কমিশনে কাজ করেন। লকডাউনের কারণে তারা নতুন গ্রাহক তৈরি বা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে পারছেন না। তাছাড়া করোনার কারণে সম্ভাব্য নতুন গ্রাহক সরাসরি দেখা করছেন না। সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়, আইডিআর বা বিআইয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় কমিশন এজেন্টদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে যেসব কোম্পানিগুলো গ্রাহককে পাওনা পরিশোধ করছে না তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ায় অনুরোধ করেন তিনি।
বুধবার জেনিথ ইসলামী লাইফের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম নূরুজ্জামান বলেন, এখন দরকার ডিজিটাল মার্কেটিং। এ মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে বীমা পলিসি বিক্রি করা যাবে। নগদ, বিকাশ, রকেট, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধ করা যাবে।
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এই মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিশেষ করে জীবনবীমার ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতি হবে। কারণ করেনা পরিস্থিতির কারণে মার্কেটিং করা সম্ভব হচ্ছে না। অফিসে এসে কেউ বীমা করে না। তাদের কাছে পৌঁছাতে হয়। করোনা ও লকডাউনে প্রিমিয়াম আয় কমে যাচ্ছে। তবে খরচ আগের মতই। এতে করে কোম্পানিগুলোর অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন বাড়লে সব কোম্পানির অবস্থান দুর্বল হবে। এক্ষেত্রে সরকার কিছু সাপোর্ট দিতে পারে। বিদেশে গেলে বীমা করতে হবে সেটি শুধু জীবন বীমা কোম্পানিকে না দিয়ে সব কোম্পানিকে দিয়ে দিলে তারা দাঁড়াতে পারবে। নির্দিষ্ট কোন কোম্পানিকে না দিয়ে প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেয়া দরকার।
এস এম নূরুজ্জামান বলেন, ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করেছে। এটা সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য। তবে শুধু জীবন বীমাকে না দিয়ে সব কোম্পানিকে সুযোগ দেয়ার দরকার ছিল।
খাতভিত্তিক বাধ্যতামূলক বীমা করাতে সরকারকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, যাদের টিআইএন আছে তাদের বীমা বাধ্যতামূলক করা। যারা ফ্ল্যাট কিনবে তাদের বীমা পলিসির আওতায় আনা দরকার।
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ডে বীমা সম্পর্কিত নাটক, সিনেমা তৈরি করতে পারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এতে বীমা করলে কি সফলতা আছে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়বে। রি-ইন্স্যুরেন্স পলিসিটি দেশের বাইরে না করে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বা জীবন বীমা কর্পোরেশনকে দেয়ার আহবান জানান তিনি
করেনাকালীন কোনো কোম্পানি যেন ছাটাই বা বেতন না কমায় সে বিষয়ে তিনি মালিকপক্ষ, বিআইএ ও আইডিআরএর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বাংলাদেশে এ্যাকচুয়ারি একটি বড় সমস্যা। এটি সমাধান করা দরকার। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য বীমাকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এই কর্মকর্তা বলেন, বীমা এজেন্টদের ট্যাক্স কর্তন করা হয়। এটি আগামী বাজেটে প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংকে মুনাফার হার কমে যাওয়ায় অফিস ভাড়া ও অন্যান্য খাতে ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার কমাতে হবে। অন্যথায় ব্যয় বৃদ্ধি পাবে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/আরএ