বিএসএমএমইউ’র ফিভার ক্লিনিকে ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাস বৃদ্ধির কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফিভার ক্লিনিকে চালু হয়েছে ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট। সম্প্রসারিত করোনা ইউনিটের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ৫০টি শয্যা নিয়ে বেতার ভবনের করোনা ইউনিটের রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ৫০টি শয্যা বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমান প্রশাসন গত চলতি বছরের ২৯ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণের পর ইতোমধ্যে ১০০টি শয্যা ও ২০টি কেবিন বৃদ্ধি করেছে। আইসিইউ বেড আরও ১০টি বৃদ্ধি করা হবে। অর্থাৎ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত ১৫০টি করোনা বেড, ১০টি আইসিইউ বেড এবং ২০টি কেবিন বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, মেশিন, আরটিপিসিআর মেশিন বৃদ্ধির কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা হলো বেতার ভবনে চালুকৃত নতুন করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি হবেন এবং তারা চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যার নাম আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে ৮১ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এতে রোগীদের মৃত্যুহার কম হলেও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। বর্তমানে করোনা মোকাবিলা করা প্রধান চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন,  একই কক্ষে একটানা আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার বেশি অনেক লোক থাকা যাবে না। নিয়মিত গরম পানির গড়গড়া এবং কমপক্ষে দিনে তিনবার গরম পানির ভাপ নিতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, যাদের স্মার্ট ফোন নাই বা স্মার্টফোন ব্যবহারে অক্ষম তারা বিএসএমএমইউর পিসিআর ল্যাবে এসে অন স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে কোভিড-১৯ জনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ, বেতার ভবনে ফলক উন্মোচন করে নতুন করোনা ইউনিট বা সম্প্রসারিত করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি শুরু

বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের করোনা টিকা নেয়ার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নয়টার সময়ে কনভেনশন সেন্টারের উপাচার্য কোভিড ১৯ এর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন। উপাচার্যের পর পরই টিকা নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এছাড়া কনভেনশন সেন্টারে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সমাজ কল্যাণ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদোচ্ছের আলী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার  কে এম নূরুল হুদা, পিএসসি সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিয়ার রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্যবৃন্দ, কোষাধ্যক্ষ, ডিনবৃন্দও টিকা নিয়েছেন।

এসব কর্মসূচিতে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন শাহীন আখতার, মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন দেবব্রত বনিক, রেজিস্ট্রার এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল মাহমুদ আরাফাত, গ্রন্থাগারিক হারিসুল হক, হল প্রভোস্ট এসএম মোস্তফা জামান, অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল করিম মানিক উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৮ এপ্রিল/এএ/এমআর