কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০

কুষ্টিয়ার খোকসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ আলী ও লিটন মাস্টারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে লিটন মাস্টার বুধবার দিবাগত রাতে আগাম ঘোষণা দিয়ে হামলা চালায়।

পরে এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে আবোরো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষই পৃথক দুটি মামলা করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের কোমরভোগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য জাবেদ আলী এবং আওয়ামী লীগ নেতা লিটন মাস্টারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে জাবেদ আলী ও লিটন মাস্টারের লোকদের মধ্যে বাকবিতাণ্ডা হয়।

এ সময় লিটন মাস্টার রাতে হামলা চালানোর হুমকি দেন। পরে বুধবার দিবাগত রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাবেদ আলীর লোকজনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে জাবেদ আলীর লোকজন লিটন মাস্টারের লোকজনের উপরে হামলা চালায়।

এসময় শাজাহান আলী (৪৫), আমিরুল ইসলাম (৪০), রাশিদুলসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, জাবেদ আলী ও লিটন মাস্টার দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা। পুরো গ্রামে আওয়ামী লীগের দুটো দল সৃষ্টি করেছে। প্রায়ই এদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা হয়।

তিনি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতারা এসে ওই গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

খোকসা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/কেএম)