‘করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের আত্মোন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে’

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ২২:৫১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান বলেছেন, করোনা মহামারীর স্থবিরতা পুরো বিশ্ববাসীর জন্য শিক্ষণীয় কিছু দিকের মোড়ক উন্মোচন করেছে। শিক্ষার্থীদের উচিত হতাশা কিংবা বিষন্নতায় না ভুগে মননশীল চিন্তা জগতে প্রবেশ করে তাদের অর্জিত শিক্ষা, প্রজ্ঞা, মানবিক আচরণ ও মনুষ্যত্বের যথাযথ মূল্যায়ন করা। পাশাপাশি কোনোরূপ ঘাটতি থাকলে তা পূরণে সচেষ্ট হওয়া। তবেই প্রত্যেকে নিজ নিজ করণীয় সম্পর্কে সোচ্চার হবে।

রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘আগামীর প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে ড. আখতার এসব কথা বলেন।

করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান স্থবির পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে করণীয় সম্পর্কে এই অনুষ্ঠান হয়।

ড. আখতার বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, বিশেষজ্ঞ পরামর্শকদের নির্দেশনা অবলম্বন এবং যার যার ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিপালনের মাধ্যমে মানবিক গুণে দীক্ষিত হয়ে দায়িত্বশীল হয়ে গড়ে উঠতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনার সম্প্রচার হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। সঞ্চালক ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব।

এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্যানেল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহ্হিদা সুমি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল গবেষক ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সানজিদা আয়েশা।

ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বের হয়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থা অবলোকনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হতাশা, উদ্বিগ্নতা, জড়তা কাটিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানোর জন্য গড়ে উঠতে হবে। নিজেদের সক্ষমতার উপর পূর্ণ আস্থা ও দৃঢ সংকল্পে অটুট থাকলে করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হবে।

ড. ওয়াহ্হিদা সুমি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট স্থবিরতা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটা আশীর্বাদস্বরূপ কেননা ভিন্ন ভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা এসময় নিজেদের ডিসিপ্লিনের বাইরের জ্ঞান ও অজানা বিষয়ে সমৃদ্ধ হতে পারে। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ এই বন্ধে প্রত্যাহিক রুটিন অনুসরণ করে তাদের জীবনকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গড়তে পারে এবং নিত্যনতুন বিষয়ে অবগত হয়ে সৃজনশীল ও মননধর্মী কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখলে প্রকারান্তরে তারা সফল হবেন।

(ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :