ফারুকের মৃত্যুর গুজবে ক্ষুব্ধ পরিবার

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২১, ০২:৪৬

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রায় এক মাস ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সেখানে গত ২১ মার্চ থেকে তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্তও চিকিৎসায় কোনো সাড়া দিচ্ছিলেন না।

এই অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ছড়িয়ে পড়ে, নায়ক ও সাংসদ ফারুক মারা গেছেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। তবে এই খবর একেবারেই সত্যি নয় বলে অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফারুকের মৃত্যুর খবরকে তারা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন, পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।

তারকা সাংসদের ছেলে রোশান হোসেন পাঠান বলেন, ‘হুট করেই বাবার মৃত্যুর খবর জানতে চেয়ে সাংবাদিক ও আত্মীয়রা একের পর এক ফোন করছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই বিরক্ত। একদিকে বাবা অসুস্থ, অন্যদিকে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের মানসিক অবস্থা কেউ বুঝতে চাচ্ছে না। সবার কাছে অনুরোধ, না জেনে গুজব ছড়াবেন না। পারলে বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া করুন। ’

তিনি আরও জানান, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালোর দিকে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। এছাড়া হাত পা-ও নাড়াচ্ছেন।’

নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে গত ৪ মার্চ সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। চেকআপের পর তার ইনফেকশন ধরা পড়লে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ মার্চ খিঁচুনি উঠায় ফারুককে আইসিইউতে নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৮ মার্চ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ২১ মার্চ হঠাৎ জ্ঞান হারালে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে।

অভিনেতার শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে সে সময় তার ছেলে রোশান জানিয়েছিলেন, ‘বাবা গত ২১ মার্চ থেকে কথা বলছেন না। অচেতন অবস্থায় আইসিউইতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। আগে থেকেই তার রক্তে সমস্যা ছিল। এখন একটার পর একটা সমস্য দেখা দিচ্ছে। বাবার পাকস্থলীর ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সেগুলোর চিকিৎসা চলছে। বাবার জন্য দেশবাসির কাছে দোয়া চাই।’

প্রসঙ্গত, গত বছর লকডাউনের মধ্যেও সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা ফারুক। সেবার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার যক্ষ্মা ধরা পড়ে। এরপর দেড় মাস চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি দেশে ফেরেন। এর কিছুদিন না যেতে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ফারুক করোনায় আক্রান্ত হন। যক্ষ্মার মতো জয় করেন করোনা ভাইরাসকেও।

ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/এএইচ