ঢাকা ক্লাবের ৩৩ কোটি টাকা কর মওকুফের আবেদন নাকচ

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৩৫ | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৫৬

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা ক্লাবের ৩৩ কোটি ৭ লাখ টাকা কর মওকুফের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে এনবিআরের কাছে কর এবং সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতির দাবি জানিয়েছিল ঢাকা ক্লাব।

অনুসন্ধানে ঢাকার দক্ষিণ ভ্যাট কার্যালয় রাজধানীর প্রাচীনতম অভিজাত ক্লাবটির কাছে ভ্যাট বাবদ ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক বাবদ ৭ কোটি টাকা পাওনা খুঁজে পায়। এরপর ঢাকা ক্লাবের বকেয়া ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি সামনে আসে।

২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সেবা  (বুকিং চার্জ, সার্ভিস চার্জ, ভাড়া, বার, বিউটি পার্লার, অতিথি কক্ষ ভাড়া, স্বাস্থ্য সেবা, মেস, কার্ডরুম এবং লণ্ড্রি বাবদ ঢাকা ক্লাবের এই পরিমাণ ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক জমা হয়। এছাড়া মাঠ কর্মকর্তা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত ক্লাবের অডিট যাচাই করে ৭ কোটি ৫ লাখ বকেয়া ভ্যাটের সন্ধান পান। 

এনবিআরের আঞ্চলিক অফিস ২০১৭ সালে জুলাইয়ে ঢাকা ক্লাবের কাছে সর্বপ্রথম বকেয়া পরিশোধের নোটিশ দেয়। এরপর দক্ষিণ ভ্যাট কার্যালয় ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাবদ প্রাপ্ত অর্থ চেয়ে একাধিকবার নোটিশ দেয়। বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা না হলে ক্লাবের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

জবাবে ঢাকা ক্লাব এনবিআরের কাছে সময় চেয়েছিল। ক্লাব কর্তৃপক্ষ এনবিআরের কাছে ভ্যাট মওকুফেরও দাবি জানিয়েছিল।

সর্বশেষ, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা ক্লাব ভ্যাট মওকুফের আবেদন জানায়। এতে তারা ১৯৯১-এর ধারা ৫৬-এর সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করতে অনুরোধ জানায়। কিন্তু এনবিআর গত ২৯ মার্চ ভ্যাট মওকুফের আবেদন নাকচ করে দেয়।

ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার প্রমিলা সরকার জানান, আঞ্চলিক অফিস ঢাকা ক্লাবের কাছে প্রাপ্ত ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক দাবিনামা ইস্যু করবে।

এ বিষয়ে ঢাকা ক্লাবের মহাসচিব জহিরুল আলিম বলেন, তারা যে সময়ের ভ্যাট দাবি করেছে ওই সময়ে ক্লাবের সদস্যদের কাছ থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করা হয়নি। এনবিআর যেহেতু ভ্যাট মওকুফ করেনি সেহেতু আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিষয়টির সমাধান করব।

(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/কেআই