ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে উল্টো হয়রানিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হননি তারা। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম নজরুল ইসলাম ওরফে শাহজাহান গাজী (৭০)।

তিনি বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের পূজা মন্দিরের সামনের সড়কে আমার ছেলে মামুন গাজীর মোটরসাইকেলের পথরোধ করে স্থানীয় মিরাজ খান ও মজিবরের নেতৃত্বে ৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।’

ওই ঘটনায় তিনি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।

নজরুল ইসলামের অভিযোগ, চারজন ব্যতীত বাকি সব আসামি আদালতের জামিন না নিয়েই প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। আর তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। গত সোমবার দুপুরে হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি মজিবর তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটিও হয়। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই ঘটনায় তাকেসহ হত্যা মামলার প্রধান তিন সাক্ষীর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মারধরের মামলা করা হয়েছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীন দেশে হয়তো ছেলে হত্যার বিচার দেখে মরতে পারবো না।’

তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন বলেন, ‘যেহেতু হত্যা মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আমার মন্তব্য নাই। তবে মারধরের মামলায় হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীরা জড়িত না থাকলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে। এখানে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নাই।’

(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/পিএল)