পরিবহন সংকটে অফিস ফেরত মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দিনের শুরুতে যাত্রীর অভাবে অনেকটা সিট ফাঁকা রেখে কম যাত্রী নিয়ে বাস চললেও শেষ বেলায় বাস সংকটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। নিয়ম অনুযায়ী ছয়টার পর গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহন সংকটে এ দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

শনিবার রাজধানীর বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আসাদগেট ঘুরে জনদুর্ভোগের এ চিত্র দেখা যায়।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের বিধিনিষেধ দেয় সরকার। এসময় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করা হয়। কিন্তু অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে নিষেধাজ্ঞার তিনদিন পর শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী ভোর ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। সোয়া পাঁচটার পরই ড্রাইভাররা গ্যারেজের উদ্দেশে গাড়ি ঘুরাতে শুরু করেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের অফিস ছুটি হয় পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে। ফলে অফিস ছুটির পর চরম পরিবহন সংকটে পড়ছেন তারা। অফিসে যেতে পারলেও আসার সময় পরতে হচ্ছে বিপাকে।     অনন্যোপায় হয়ে অনেকে গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে চার থেকে পাঁচজন একসঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে ছুটছেন আপন ঠিকানায়। আবার অনেককে পায়ে হেঁটে, রিকশায় করে এবং অ্যাপচালিত মোটরবাইকেও যেতে দেখা গেছে।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর একটি প্রাইভেট কারের ড্রাইভারকে মিরপুর মিরপুর বলে যাত্রী ডাকতেও দেখা গেছে।

গণপরিবহনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী রাশেদ বলেন, ‘অফিস শেষ করলাম। এখন গাড়ি নাই। বাসাই যাবো কেমন করে? আমাদের অনেকটা কষ্ট দেয়া হচ্ছে। অফিসে যাওয়ার কথা চিন্তা করে ঠিকই সকাল থেকে গাড়ি চালু করে দেয়া হল। কিন্তু অফিস শেষ হওয়ার আগেই গাড়ির সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। কাজ শেষ করে আমরা কি করবো সেটা কারোর মাথাই নাই।’ আমরা বাসায় যাবো না কি রাস্তায় ঘুমাবো-ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে তিনি।

অন্য এক যাত্রী রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাই করোনাভাইরাস দিনকানা। এরা দিনে চোখে দেখে না তাই দিনে গাড়ির সার্ভিস অন। রাতে এরা চোখে দেখে সংক্রমণ ঘটায় তাই রাতে গাড়ির সার্ভিস অফ।

সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, অফিস শেষ করেছি বাসায় যেতে হবে। এদিকে রাস্তায় গণপরিবহন নেই। এখন আমরা কি করতে পারি। বাধ্য হয়ে  বেশি ভাড়া দিয়ে চার পাঁচজন শেয়ার করে সিএনজিতে চলাচল করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গণপরিবহনের স্টাফরা নিজের অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের তো কিছু করার নাই। আমরা চাইলেও গাড়ি চালাতে পারবো না। সরকার নিয়ম করেছে ছয়টা পর্যন্ত গাড়ি চলবে আমরা নিয়ম মেনে ৬টা পর্যন্ত গাড়ি চালাচ্ছি। আমরা যদি নিয়ম না মেনে ছয়টার পর গাড়ি চালাই তাহলে পুলিশ কেস দেবে। তাই মানুষের কথা চিন্তা করে গাড়ি চালানোর ইচ্ছা থাকলেও আমরা নিরুপায়।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/আরকে/ইএস)