আ.লীগ নেতার বাড়িতে ব্যবসায়ীর লাশ: তদন্তে কমিটি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১৫

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, বাদীর অভিযোগ তদন্ত করে মামলাটি গ্রহণ করা হবে।

ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম। রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ী হাসান আলীর মৃত্যুর ঘটনাসহ তার পরিবারের দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গাওহারীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অব্শ্যই বাদীর অভিযোগেই মামলা রুজু করা হবে।

এদিকে, ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার ও মাসুদ রানা আটকের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে মাসুদ রানাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক স্বাক্ষরিক গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে মাসদ রানাকে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পদ হতে অব্যহতি প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরদিকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় মহল। ঘটনার বিচার দাবিতে রবিবার দুপুরে শহরের ডিবি রোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন পালিত হয়।

নিহত ব্যবসায়ী হাসান আলীর স্বজনদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সুদের ওপরে নেন হাসান। টাকা দিতে না পারায় ৫ মার্চ তাকে অপহরণ করে নিজ বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় আটকে রাখেন মাসুদ। পরে হাসানের স্ত্রী তাকে উদ্ধারে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগকারী ও অপহরণকারীকে নিয়ে থানায় (ওসি তদন্ত) মজিবরের রুমে বৈঠক করেন। সেখানে অপহৃত ব্যবসায়ী হাসানও উপাস্থিত ছিলেন। তাকে এএসআই মোশারফ মাছুদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।

বৈঠকে হাসান আলীর কাছে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের চাপ দেয়াসহ আসামি মাসুদ রানার কাছে হাসান আলীকে জিম্মায় দেয় পুলিশ। এরপর থেকে নিজ বাড়িতে হাসানকে আটক রেখে নির্যাতন করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

মাসুদের বাড়িতে হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় রুমেন হক ও খলিলুর রহমান বাবু পরোক্ষভাবে জড়িত আছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। তাদের পরস্পরের নির্যাতন ও আর্থিক চাপেই হাসান সর্বশান্ত হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেন।

এদিকে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে এজাহারে অভিযোগ উল্লেখ থাকায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলেও স্বজনরা অভিযোগ করেন।

এর আগে, শনিবার দুপুরে (১০ মার্চ) সদর উপজেলার বল্লমঝার ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের (খানকাহ শরীফ) এলাকার বাড়ি থেকে থেকে হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। মাসুদ রানা সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :