টেন্ডার নিয়ে জবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৩ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১, ২১:৩১

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।  রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন আসে পরিচিত হওয়ার জন্য। এসময় জুনিয়র কিছু কর্মী এসে টেন্ডার নিয়ে কথা বলতে থাকে। দুই পক্ষের বাকবিতন্ডায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আমি তাদের বের হয়ে যেতে বলি। এসময় তাদের দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে ছাত্রলীগ পরিচয়ে ইব্রাহিম ও শাকিল বেশ কয়েকবার এসেছিল। টেন্ডার হলে সেখান থেকে কিছু পার্সেন্টিজ রাখতে বলে। আজকের ঘটনা ওই সূত্র ধরেই হতে পারে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমির বাউন্ডারি ওয়ালের ই-টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল আজ। এ টেন্ডারকে ঘিরে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জামাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি, সৈয়দ শাকিল কয়েকদিন আগে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে দেখা করেন। দুপুরে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল আমিন শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাদ, নাজমুল ইসলাম সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, আকতার হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাহবাজ হোসেন বর্ষণ ও সহ-সম্পাদক রিফাত সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি ও সৈয়দ শাকিলের কর্মীরা প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে এসে হট্টগোল শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা শুরু হলে প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাদ বলেন, করোনার জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সকালের দিকে আমরা কয়েকজন মিলে ক্যাম্পাসে যাই। বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের পরিচিতদের সাথে দেখা করি। দুপুর ১২টার দিকে প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে ঢুকে কথা বলার সময় ইব্রাহিম ও শাকিলের গ্রুপের কর্মীরা হুট করে রুমে আসে। এসময় টেন্ডারের কথা বলে আমাদের সাথে হট্টগোল করে।

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিল বলেন, ক্যাম্পাসে কি নিয়ে জানি ঝামেলা হয়েছে। আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।

প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে হট্টগোল লেগেছে  জেনে আমরা দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। উভয় পক্ষকে বলেছি, শান্ত থাকতে। ক্যাম্পাসে কেউ এনিয়ে ঝামেলা করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এলএ)