সর্বাত্মক লকডাউনে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৫৫ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৭:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লাকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।

সকালে জনপ্রশাসন বিভাগের উপ সচিব মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

চলতি মাসের ৫ এপ্রিল থেকে চলা বিধিনিষেধের মধ্যেই আজ সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনার কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনের ১৩ দফা নির্দেশনায় যেসব বিষয় বলা হয়েছে সেগুলো হলো।

(ক) সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে, বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহে নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে;

(খ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে;

(গ) সকল প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে, পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না;

(ঘ) শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে, শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে;

 

(ঙ) আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বলানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে;

(চ) অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে;

(ছ) খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ (Takcaway/Onlinc) করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে;

(জ) কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে;

(ঝ) বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সময় সমন্বয় করবেন।

(ঞ) সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে;

(ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন;

(ঠ) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মা ও তারাবি নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে; এবং

(ড) উপযুক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে।

ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এসআর/এমআর