মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে কিশোরকে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর তুরাগে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করতে না পেরে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ।

সোমবার এই গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাকির হাসান।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের গত ১৯ মার্চ বিকালে তুরাগ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের সময় উদ্ধার অজ্ঞাতনামা ওই কিশোরের পরিচয় নিশ্চিত হতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনসহ আশপাশের জেলাগুলোতে কিশোরের ছবিসহ বেতার বার্তা পাঠানো হয়। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পরে জানা যায়, রাজধানীর তুরাগ থানায় গত ১৮ মার্চ একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। পরে সে নিখোঁজ ডায়েরির সূত্র ধরে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় নিহতের বাবা-মা ছবি ও জামা কাপড় দেখে তাদের ছেলে বলে শনাক্ত করেন।

পরিবার সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, তুরাগ নদ থেকে উদ্ধার ওই কিশোরের নাম  ইসমাইল সরকার, তার পিতার নাম মো. নূর নবী সরকার, তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলায়। নিহত ইসমাইল সরকার কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

জিএমপি পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, তদন্তকারী দলের সদস্যরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারী মোহাম্মদ আতাউল হোসেনকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আতাউল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তি পুলিশের কাছে অপরণের কথা স্বীকার করেন।

 

গ্রেপ্তার আতাউল পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা তিনজন মিলে কিশোর ইসমাইলের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করেন। পরে তারা ওই কিশোরের বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু চাহিদা মতো মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ইসমাইলকে হত্যা নিশ্চিত করে তুরাগ নদে ফেলে যান তারা। গ্রেপ্তারের পর আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আতাউল হোসেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এআর/জেবি)