আল্লামা শফী ‘হত্যায়’ বাবুনগরীসহ অভিযুক্ত ৪৩

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৩ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
আল্লামা শফী ও জুনায়েদ বাবুনগরী (ফাইল ছবি)

হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার এক স্বজন যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিবেদনে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

পিবিআই ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানান, নরহত্যার দায়ে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় প্রতিবেদনটি দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে জুনায়েদ বাবুনগরী ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব হাবিব উল্লাহ, হেফাজত নেতা নাছির উদ্দিন মুনির, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, আবদুল মতিন, শহীদুল্লাহ, রিজুয়ান আরমান, জাফর আহমদ, এনামুল হাসান ফারুকী, আনোয়ার শাহ, শফিউল আলমসহ ৪৩ জন রয়েছেন।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আল্লামা শফীর শ্যালক মো. মঈন উদ্দীন পূর্বপরিকল্পিতভাবে আহমদ শফীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন আদালতে। মামলার আরজিতে বলা হয়, অসুস্থ হলেও আহমদ শফীকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় তার কক্ষে আটকে রাখা হয়। তার কক্ষে আসামিদের ইন্ধনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। মাদ্রাসা মাঠে আহমদ শফীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখা হয়। আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী মারা যান। তার মারা যাওয়ার আগের কয়েক দিন হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। এক পর্যায়ে মজলিসে শূরার বৈঠকে আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়। অনেকটা চাপের মুখে আল্লামা শফী নিজেও পদত্যাগ করেন। আল্লামা শফীর ইন্তেকালের পর হেফাজতের আমিরের দায়িত্ব পান জুনায়েদ বাবুনগরী। অভিযোগ রয়েছে, আল্লামা শফীপন্থীদের নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/জেবি)