৯ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাবি ভিসিকে চিঠি

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৩ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৮

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ইউজিসির তদন্তে প্রমাণিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ২৫টি অনিয়মের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ১২টি নির্দেশনায় উদ্বীগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় নির্দেশনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেওয়া নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ নিয়ে মোট ৯ দফা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় উপাচার্যকে এই চিঠি দেওয়া হয় বলে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করেন।

উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে জানানো দাবিগুলোর মধ্যে আছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা প্রস্তুত, মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সবধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখা। নিয়োগ বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৫০৩তম সিন্ডিকেট সভায় হওয়া নিয়োগ বাতিল, ফলিত গণিত বিভাগে নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষককে দেওয়া অ্যাডহক নিয়োগ বাতিল করা।

একই সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রেজিস্ট্রারকে অপসারণ না করে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নির্দেশনার আলোকে পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রারকে অপসারণের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে উপেক্ষা করা হয়েছে দাবি করে কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এর আগে গত ২৪ মার্চ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সভায় সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউজিসির তদন্তে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারীর ২৫টি অনিয়ম প্রমাণিত হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাবির অন্যায় ও অপকর্মের সাথে জড়িত কতিপয় শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে তলব এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ বন্ধসহ ১২টি নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে  সেসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়োগ স্থায়ী করা ও নতুন নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এলএ)