রমজানে হিফজ ও কেরাত বিভাগ খুলে দেয়ার দাবি

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৭
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন রমজান মাসে হিফজুল কুরআন ও কেরাত বিভাগ খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের সভাপতি ও গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।

সোমবার বোর্ডের মজলিসে আমেলা (নির্বাহী কমিটি) ও জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমীন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিভাগ বিশেষ করে শিক্ষা বিভাগ চরম ক্ষতিগ্রস্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলেম উলামাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রতি আস্থা রেখে কওমি মাদরাসাসমূহ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। দেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডসমূহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দিকনির্দেশনা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করে মাদ্রাসাসমূহের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং প্রত্যহ নামাজ শেষে মহামারি থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করে। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর রহমতে শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী মাদ্রাসার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে আমাদের জানাই। এভাবে কওমি মাদ্রাসাসমূহ অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাওরায় হাদিসসহ সব স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার মাধ্যমে শিক্ষাবর্ষ শেষ করে।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পবিত্র কুরআন নজিলের রমজান মাস আসন্ন অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশে নতুন করে লকডাউন এবং কওমি মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু বরকতময় রমজান মাসে আল্লাহর রহমত, বরকত, মাগফেরাত হাসিল এবং করোনাভাইরাসের মতো মহামারি থেকে মুক্ত হতে এবং হাফেজ সাহেবদের কুরআন মুখস্ত করা ও কুরআন তেলাওয়াত করা এবং দোয়া হওয়া খুবই জরুরি।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা ও এতিম শিশুদের প্রতি দয়ার্দ হয়ে দেশের এতিমখানাসমূহ খোলা রাখার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বর্তমানে কওমি মাদ্রাসাসমূহের জামাত বিভাগ বন্ধ রয়েছে। এজন্য হিফজ বিভাগ ও কেরাত বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহজ। তাই পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কওমি মাদ্রাসাসমূহের হিফজুল কুরআন ও কেরাত বিভাগ খুলে দিলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি তাদের কুরআন তেলাওয়াত এবং দোয়ার মাধ্যমে এই মহামারি থেকে মুক্তির পথ সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।

শিক্ষা বোর্ডের মাহাসচিব মাওলানা শামছুল হকের পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা কাবিরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা হায়াত আলী, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মুফতি মুঈনুদ্দিন, মাওলানা জাহিদ আল মাহমুদ, মাওলানা রেজাউল হক, মুফতি উসামা আমীন প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :