করোনায় মারা গেলেন আরও এক গানের মানুষ
মহামারি করোনা কেড়ে নিল বাংলাদেশের সংগীত জগতের আরেক পরিচিত মুখ। অদৃশ্য এ ভাইরাসে এবার মারা গেলেন সংগীত পরিচালক ও সুরকার ফরিদ আহমেদ। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বেশ কয়েকদিন ধরে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ফরিদ আহমেদ। সংগীত পরিচালকের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান তার ছোট মেয়ে লিয়ানা ফরিদ। তিনি বলেন, ‘সকালে বাবাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছেন। তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।’
গত ২০ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়েন ফরিদ আহমেদ। এরপর ২১ ও ২৩ মার্চ করোনা টেস্ট করালে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২৫ মার্চ তিনি আবারও টেস্ট করান। এবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানে শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হওয়ায় তাকে স্থানান্তর করে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গিয়ে সুরকারের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। এর তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার সেখানে থাকতেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র শুরুতে ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি চুপি’ শিরোনামে যে গানটি বহু বছর ধরে বাজছে সেটির স্রষ্টা ফরিদ আহমেদ। এছাড়া তিনি আড়াই হাজারের বেশি নাটক, চার শতাধিক ধারাবাহিকসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি ও টিভি অনুষ্ঠানের থিম সং তৈরি করেছেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০টির মতো সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন ফরিদ আহমেদ। ২০১৭ সালে সংগীত পরিচালক হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ মার্চ মারা যান একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা নমিতা ঘোষ। আরেক কণ্ঠযোদ্ধা ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর মৃত্যু হয় ৭ এপ্রিল। এরপর রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক মারা যান গত রবিবার ভোরে। এবার প্রাণ গেল ফরিদ আহেমেদের।
ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এএইচ