এক ঘণ্টায় মুভমেন্ট পাসের জন্য সোয়া লাখ আবেদন

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৬:২৮ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বুধবার থেকে শুরু হওয়া আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের জন্য পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’ অ্যাপে এক ঘণ্টায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার জন।

মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সদরদপ্তরের মি‌ডিয়া অ্যান্ড পিআর শাখা থেকে জানানো হয়, প্রথম ঘণ্টায় আ‌বেদন জমা পড়ে‌ছে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার। পরবর্তী প্র‌তি মি‌নি‌টে আবেদন জমা পড়‌ছে প্রায় ১৫ হাজার।

পুলিশ জানায়, লকডাউনে বাসা থেকে নিতান্ত প্রয়োজনে কাউকে বের হতে হলে www.movementpass.police.gov.bd এই ওয়েব ঠিকানায় ঢুকতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করার পর ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট নিতে হবে। প্রিন্ট কপিটিই মুভমেন্ট পাস হিসেবে গণ্য করা হবে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে অ্যাপটির উদ্বোধন করেন পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) ড. মঈনুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘সীমিত কারণে বের হওয়া লাগতে পারে। তারা মুভমেন্ট পাস নেবেন। রাস্তাঘাটে কোনো আড্ডা দেবেন না। বিভিন্ন সড়কে, মোড়ে আড্ডা দেবেন না। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তরুণেরা কেউ বের হবেন না। বের হতে হলে অবশ্যই দ্রুত ঘরে ফিরতে হবে।’গাড়ি বের করার বিষয়েও নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই মুভমেন্ট পাস নেবেন।’

আইজিপি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আপনাদের ঘরের বাইরে দেখতে চাই না। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে এবং বাইরে থেকে ঘরে ফিরে স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার হবেন। আপনার মাধ্যমে যেন আপনার প্রিয়জন করোনাই সংক্রমিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাজার বা করোনার টিকার তারিখ থাকলে অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলেও বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।’

কেউ মিথ্যা বলে মুভমেন্ট পাস নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘ঢাকার বাইরে গেলে মুভমেন্ট পাস লাগবে। একটি মোবাইল নম্বর ও একটি গাড়ির নম্বর দিয়ে একাধিক পাস নেয়া যাবে না।’

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘গত বছর পুলিশ করোনা পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে, এবারও করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে হবে। গত বছর লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এবারও গত দুদিন ধরে ঢাকা ছাড়ছেন, এগুলো ঠিক না। এগুলো নৈতিকভাবে খুবই অন্যায় কাজ। গতকাল সোমবার বিভিন্নভাবে যারা যেখানে পৌঁছেছেন, তারা সেখানেই থাকবেন।’

প্রান্তিক মানুষের কী হবে, যাদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা নেই, স্মার্টফোন নেই, তারা কীভাবে এই পাস সংগ্রহ করবেন—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘দেশে প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কেউ না পারে তাহলে প্রতিবেশীর সাহায্য নিতে পারে। তা ছাড়া আমরা তো গণমাধ্যমের কাছ থেকে প্রতিদিনের ফিডব্যাক পাব।’গণমাধ্যম কর্মীদের এই পাস লাগবে না বলেও জানান আইজিপি।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এসএস/জেবি)