লকডাউন বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা চান চসিক মেয়র

কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত লকডাউন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রেজাউল করিম বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের উচ্চহার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় প্রতিদিন পূর্বের রেকর্ড সীমা অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর ছিল না।

তিনি বলেন, গত সাত দিনে দেখা গেছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও জনসাধারণের মধ্যে তা পালনে অনীহা, ঢিলেমী এবং অসচেতনতার কারণে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাই এখন জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় আর তিল পরিমান ছাড় দেয়া হলে বড় ধরনের মহাবিপর্যয় নেমে আসবে।

এই প্রেক্ষিতে কঠোরভাবে লকডাউনের বাধ্যবাধকতা মানার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জিরো-টলারেন্স নীতি অবলম্বনের উপর গুরুত্বারোপ করে সিটি মেয়র বলেন, জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় হুমকির কারণগুলোর পুনরাবৃত্তি রোধে যা করা প্রয়োজন, তা শতভাগ প্রয়োগ করতে হবে।

সব জনপ্রতিনিধি, সামাজিক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে লকডাউন সফল বা শতভাগ কার্যকর করা সম্ভব নয়। লকডাউন চলাকালে প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। বাইরের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

এলাকাভিত্তিক অভিযান, প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণের দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকেই নিতে হবে এবং লকডাউনের কার্যকারিতা অঞ্চলভিত্তিক মনিটরিং ব্যবস্থাপনা চলমান রাখতে হবে।

মেয়র বলেন, লকডাউন চলাকালে অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর মতই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা ও চিকিৎসা সহায়তাসহ জরুরি সেবার কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে। এছাড়া চসিক আইনসোলেশন সেন্টারে বিনামূল্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসহ সব ধরনের সেবা দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক উন্মুক্ত থাকবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অন্যান্য বিভাগগুলো বন্ধ থাকলেও নিয়োজিত জনবলের কেউ নগর ত্যাগ করতে পারবেন না। অফিসের প্রয়োজনে ডাক পড়লে তাদের অবশ্যই হাজির হতে হবে বলে নির্দেশনা দেন মেয়র।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/কেএম)