তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রকে আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান চীনের

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১৫ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রকে আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। এছাড়া ওয়াশিংটন কর্মকর্তাদের উপদ্বীপে আরও স্বাধীনভাবে চলার অনুমতি সংবলিত নির্দেশনা দেয়ায় অভিযোগ দায়ের করেছে চীন। চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে থাকে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ান উপদ্বীপে চীনের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার স্বশাসিত তাইয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময় চীন প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ানের আকাশ সীমায় যুদ্ধ বিমান নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সাংবাদিকদের বলেন , তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চীনের কর্মকর্তা জানান, তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানিয়েছেন। অবিলম্বে তারা যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান কর্মকর্তা পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করাসহ সতর্কভাবে এবং সঠিকভাবে  তাইওয়ান ইস্যু পরিচালনা কথা বলেছেন।  

এদিকে, তাইওয়ানের আকাশে চীনের ‘রেকর্ড সংখ্যক’ যুদ্ধবিমান দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্বশাসিত দ্বীপটি। মঙ্গলবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিমান ও পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বিমানসহ ২৫টি উড়োজাহাজ গতকাল সোমবার সেখানকার আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।

এগুলোর মধ্যে ছিল ১৮টি যুদ্ধবিমান ও চারটি পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বিমান, দুটি সাবমেরিন ধ্বংস করতে সক্ষম জঙ্গিবিমান ও একটি আগাম সতর্ক করার উড়োজাহাজ।

এই ঘটনাকে গত এক বছরে দ্বীপটির আকাশসীমা লঙ্ঘনের বড় ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতার একদিন পর এ ঘটনা ঘটল।

মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, তাইওয়ান চীনের যুদ্ধবিমানগুলোকে সতর্ক করতে জঙ্গিবিমান পাঠিয়েছিল এবং পাশাপাশি চীনের যুদ্ধবিমানগুলোর গতিবিধি লক্ষ্য করতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চল ও তাইওয়ান-নিয়ন্ত্রিত প্রেতাস দ্বীপের মধ্যবর্তী দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে চীন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ান সরকার দ্বীপটির স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার প্রস্তুতি নিতে যাওয়ায় চীন ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান, সেনাবাহিনী ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে উল্লেখ করে এর প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বার বার বলছেন, এটি ইতোমধ্যে একটি স্বাধীন দেশ। এর স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজন নেই। তবে চীন দ্বীপটিকে এর অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে বল প্রয়োগের সম্ভাবনার কথাও নাকচ করে দেয়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/কেআই)