সালথায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য ৫০ গ্রাম

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৪১

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের সালথায় তাণ্ডবের ঘটনায় মামলার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম এখন পুরুষশূন্য। সহিংস ঘটনায় জড়িত অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। আবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই, এমন অনেক লোকও গ্রেপ্তার-হয়রানির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সোনাপুর, ভাওয়াল ও রামকান্তুপুর ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রামে সুনশান নীরবতা। এসব গ্রামের অনেক মানুষকে তাণ্ডবের মামলায় আসমি করা হয়েছে। প্রতিদিনই পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।

এসব গ্রামের হাট-বাজার, মাঠ, বাড়িঘরে নারী-শিশু ছাড়া কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। বাড়ির নারী-শিশুদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাইরের মানুষ দেখলেই তারা ভয়ে দৌড়ে সরে যাচ্ছেন। মাঠে নেই কোনো কৃষক। এতে মাঠের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজহারভুক্ত ২৬১ জনকে ছাড়াও অজ্ঞাত আরও তিন-চার হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর ফলে যে কাউকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করার সুযোগ রয়েছে বলেই অনেকে আতঙ্কে আছেন।

তাণ্ডবের ঘটনায় ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার বেশিরভাগ আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের গ্রেপ্তারি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, কোনো সহিংস ঘটনা ঘটলে কয়েকদিনের জন্য বিভিন্ন গ্রামে এ জাতীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দ্রুত এ অবস্থা কেটে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/কেএম)