মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:১০

মির্জা ইয়াহিয়া

রোনাভাইরাসে আমাদের দেশে গতকাল ৮৩ জন মারা গেছে। এটা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। অন্যদিকে আজকেই আবার ঘোষণা এসেছে লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা থাকবে। আগের বছর করোনা প্রতিরোধে ছিলো সাধারণ ছুটি। মানুষের মধ্যে আতঙ্কও ছিল। তাই জনসাধারণ ঘর থেকে বাইরে গেছে কম। এই বছর কেন জানি মানুষ লকডাউন মানতে চাইছে না। যে যেই সেক্টরে কাজ করে, সেই সেক্টর চালু রাখার জন্য খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরকারও তাই হয়তো ছাড় দিচ্ছে।

আবার এটাও ঠিক কঠোর লকডাউন আরোপ করেও করোনা ঠেকাতে পারেনি ইতালি, ফ্রান্সের মতো দেশ। তাই অর্থনীতি স্থবির করা পরিস্থিতি তৈরি করাও কাম্য নয়। আসলে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি দরকার জনসচেতনতা। কারণ জনগণ যদি স্বাস্থ্যবিধি নিজে থেকে না মানে তাহলে জোরজবরদস্তি করে কিছু হবে না।

প্রথমেই আমি বলবো মাস্কের কথা। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান করাই সবচেয়ে বেশি দরকার। তারপর নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে। প্রয়োজনে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এগুলো নিয়ে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। তাদের সবাইকে সচেতন করা যায় কীভাবে, এই উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। এসব নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন। আর এগুলো বাধ্যতামূলক করার জন্য পাশাপাশি কঠোর উদ্যোগও নিতে হবে প্রশাসনকে।

আজ একটি ভালো খবর হলো আমাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেয়ার পরও সচেতন অনেকেই মাস্ক পরার বিষয়ে উদাসীন হয়ে পড়েছেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ মাস্ক পরা, সাবান-পানিতে হাত ধোয়া করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর। এ ধরনের কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিশেষে বলব, সবাই যতোটা সম্ভব ঘরে থাকুন। মেনে চলুন স্বাস্থ্যবিধি।

লেখক: হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক

 

ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এসকেএস