করোনায় বাসায় যা করণীয়
করোনা বদ্ধ জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খেয়াল করলে দেখবেন পরিবারের কেউ একজন আক্রান্ত হলেই অতি অল্প সময়ে পরিবারের সবাই দ্রুত আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। করোনা ভাইরাসের সাউথ আফ্রিকান ও ইউকে প্রকারের বৈশিষ্ট্যই হলো বদ্ধ পরিবেশে খুব দ্রুত এবং অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়া।
সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত বাসায়ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনার বাবা-মা বা অন্যান্য বয়স্ক সদস্য যারা আপনার সাথেই থাকেন তাদের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর্মী হন বা এমন কোনো পেশার মানুষ হন যেখানে আপনার প্রতিদিন বাইরে যেতে হয় এবং সাধারণ মানুষদের সেবা দিতে হয় বা তাদের কন্টাক্টে যেতে হয় তাহলে আপনি আপনার বাসার বয়স্কদের বাসাতে এড়িয়ে চলুন।
বিশেষ করে ডায়নিং শেয়ারিং এবং আড্ডা পরিহার করুন। সংক্রমণের ভয়ে ঢাকা মেডিকেলের বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের বয়স্ক বাবা-মাকে বাড়ির অন্য সদস্যদের বাসায় রাখছেন। যারা একসাথে থাকছেন এরকম অনেক চিকিৎসকের বাবা-মা আক্রান্ত হয়ে ডিএমসিতে ভর্তি। তীব্র কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সময় সবারই আক্রান্ত হওয়ার সমান ঝুঁকি। কিন্তু আপনার একটু সতর্কতা আপনার প্রিয়জনকে নিরাপদ রাখবে।
আমি গ্রামের বাড়িতে গেলে আমার মায়ের সাথেও ৬ ফুট দূরত্ব রেখে এবং দুজনই মাস্ক পরিহিত অবস্থায় কথা বলি। বিষয়টি সবার হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্ত দিনশেষে আপনার প্রিয়মুখগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার দ্বায়িত্ব আপনার। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
করোনা হলে কখন মনে করবেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি
১। শ্বাসকষ্ট হলে।
২। অক্সিমিটারের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশ বা তার নিচে দেখালে।
৩। বুকে ব্যথা হলে।
৪। এক্সরে বা সিটি স্ক্যানে নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ দেখা দিলে।
৫। তীব্র দূর্বলতা যেমন হাটাচলা বা কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে এরকম অবস্থার সৃষ্টি হলে।
৬। কাশির তীব্রতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেলে, জ্বর ৭ দিন বা তার অধিক কাল থাকলে।
৭। রোগী অসংলগ্ন আচরণ করলে।
৮। চিকিৎসক যদি বলে আপনার অক্সিজেন প্রয়োজন হবে তাহলে কোনভাবেই বাসায় শুধু অক্সিজেন নিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। কারণ যাদের অক্সিজেন দরকার হয় তাদেরকে অক্সিজেনের পাশাপাশি আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ওষুধ দিতে হয়।
চিকিৎসক, এফসিপিএস মেডিসিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এসকেএস