লকডাউন নিশ্চিতে মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১৪:১০ | প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৩৮

দেশে করোনার মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন নিশ্চিতে কঠোর তদারকি করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। অতি প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যারা চিকিৎসা কিংবা অন্য জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন, মুভমেন্ট পাস না থাকলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আর প্রয়োজন ও মুভমেন্ট পাস কোনোটাই না দেখাতে পারলে তাকে আটকে দিচ্ছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার এলাকায় সুনসান নিরবতা। কেউ প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না। আমরা পাঁচটি চেকপোস্ট বসিয়েছি। এখানে কাউকে দেখলে জিজ্ঞাসা করছি।

রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আমার এলাকায় তিনটি চেকপোস্ট রয়েছে। রোজার প্রথম দিন হওয়ায় কেউ ঘর থেকে তেমন একটি বের হচ্ছে না। আগামীকাল ব্যাংক খোলা থাকবে তখন বোঝা যাবে আসলে মানুষ কতটা লকডাউন মানছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ইলয়াস ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার এলাকায় তিনটি চেকপোষ্ট রয়েছে। এখানে ভালোই লকডাউন হচ্ছে।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাতও তার এলাকায় কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হচ্ছে বলে ঢাকাটাইমসকে জানান।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমাদের মিরপুর এলাকায় ভালো লকডাউন হচ্ছে। আমরা সিএনজি রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞাসা করছি। প্রয়োজন হলে ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু কেউ প্রয়োজন ছাড়া বের হলে আমি তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছি।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আশরাফ উদ্দীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমাদের পুরান ঢাকায় খুব কঠোরভাবে লকডাউন হচ্ছে। আমার থানায় দুইটি চেকপোস্ট রয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা একটি গাড়িও চলতে দিচ্ছি না। সাইনবোর্ড থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত ছয়টি চেকপোস্ট। আমরা থানা এলাকায় আটটি চেকপোস্ট রয়েছে। উত্তরা থেকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় আসতে হলে আশিটা চেকপোষ্ট পার হতে হবে। সুতারাং কোনো মানুষই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

দেশে চলতি বছরের মার্চের শেষ থেকে হঠাৎ করেই করোনার সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। তবে, এতে মানুষের বের হওয়া আটকাতে না পেরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে। সরকারের দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে। আর এর জন্য নিতে হবে পুলিশের মুভমেন্ট পাস।

(ঢাকাটাইমস/১৪ এপ্রিল/এএ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়র তাপসের মতবিনিময়

মতিঝিলের ফুটপাতে পড়েছিল বৃদ্ধার মরদেহ

মিরপুর বিআরটিএ’তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৪ দালালকে সাজা

খিলক্ষেতে ৬০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার

রাজারবাগের পুকুরে ডুবে পুলিশ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু, ধরা পড়ল সিসি ক্যামেরায়

চার নারী একসঙ্গে ওয়াশরুমে! সেই রাতে গুলশানে কী হয়েছিল, জানালেন ভুক্তভোগী

রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

সংসদ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে আটক সাবেক এমপিপুত্র, ছাড়া পেলেন মুচলেকায়

গুলশানে ‘মাতাল’ হয়ে মারামারিতে জড়ানো তিন তরুণী গ্রেপ্তার, বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মা ও স্ত্রীর পর না ফেরার দেশে লিটনও

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :