করোনার জন্য প্রতিরোধই প্রতিকার
ব্রাজিলে যে প্রতিদিন এত মানুষ মারা যাচ্ছে, ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট যে এত ভয়ংকর- তবুও আক্রান্তের মাঝে সিরিয়াস বা ক্রিটিক্যাল রোগী মাত্র ০.৭ শতাংশ । আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হলে মৃতের সংখ্যা বাড়াই স্বাভাবিক।
তাই শুধুমাত্র সঠিকভাবে মাস্ক পরে আপনি করোনার হাত থেকে নিজে তো বাঁচতে পারবেনই, পরিবারকেও বাঁচাতে পারবেন ইনশা আল্লাহ। করোনার জন্য প্রতিরোধই প্রতিকার। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন।
মাস্ক পরার পরেও আক্রান্ত হলেও আপনি মৃদু উপসর্গযুক্ত থাকবেন, কারণ কম সংখ্যক ভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঘটবে।
অনেকেই এমন ঢিলা ঢালা কাপড়ের মাস্ক পরেন যে কথা বলতে গিয়ে মাস্কটি নাকের নীচে নেমে যায়। ফলে বার বার হাত দিয়ে মাস্কটিকে স্বস্থানে ফিরিয়ে নিতে হয়।
মনে রাখবেন, আপনার হাত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম উৎস। তাই সঠিক মাপের মাস্ক পরুন
বারবার হাত দিয়ে মাস্ক ঠিক করবেন না। যদি কখনো মাস্ক খুলতে হয়, খোলার আগে ও পরবর্তীতে পরার আগে হাত স্যানিটাইজ করে নিন।
শুধুমাত্র হাতকে চোখ, নাক, মুখ থেকে দূরে রাখুন। মাস্কের উপর বার বার হাত দেবেন না। কথা বলার সময় মাস্ক খুলবেন না। ভীড়যুক্ত ও বদ্ধ স্থান এড়িয়ে চলুন।
মাস্কটি খোলার পর যে জায়গাটিতে রাখবেন তা স্যানিটাইজ করে নিন। নিজে মাস্ক পরুন, অন্যকে মাস্ক পরায় উৎসাহিত করুন।
ডা. নুসরাত সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক, ভাইরোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ