ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতকর্মীসহ গ্রেপ্তার আরও ৩৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১৬:০৩ | প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৪১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জন হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা পুলিশ বুধবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। পুলিশ বলছে, সহিংস ঘটনার ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।

হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৫টি, আশুগঞ্জ থানায় তিনটি ও সরাইল থানায় দুটি মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় ২৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ১৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।

তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে থাকার দুদিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মেয়রের বাসভবন, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ব্যক্তিগত অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, খাঁটি হাতা হাইওয়ে থানা ভবন, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, মাতৃ সদন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, তার শ্বশুরের বাড়ি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাছেরের বাসভবন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়সহ প্রায় অর্ধশতাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :