সর্বাত্মক লকডাউন: স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত টিসিবির ট্রাকে
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ছিল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রির ট্রাকে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর, মানিকনগর, গোপীপাগ, মতিঝিল, কমলাপুর, খিলগাও, বাসাবো, বৌদ্ধ মন্দির, মুগদা এলাকা সরেজমিনে প্রতিটি টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাকের সামনে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে, সেখানের মানুষের মধ্যে ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতেও টিসিবির পক্ষ থেকেও ছিল না কোনো ব্যবস্থা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে মালামাল কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে খিলগাঁও এর বাসিন্দা মোশারফ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, একটু দেরি করে আসায় গতকাল লাইনে দাঁড়াতে পারিনি। দুই দিন বড় লাইনের কারণে ফিরে গেছি, তাই আজ নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়েছি।
দেশের করোনা প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও মোশারফ হোসেনের মতো অনেক স্বল্প অয়ের মানুষের কাছেই ভরসার নাম টিসিবি। তবে টিসিবির পণ্য নিতে যে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হয় সেখানে স্বাস্খ্যবিধি মানার যেমন কোনো বাছ বিচার নেই, স্বাস্থ্যবিধি মানাতেও টিসিবির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেই।
মুগদা টিসিবির ট্রাকে যে শ্রমিকরা এসব পণ্য বিতরণের দায়িত্বে আছেন তার নাম রউফ। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, এই এলাকা ঘনবসতি, এক সঙ্গে দুই তিনশো লোক মাল নিতে আসে। আমাদের তেমন লোক নাই। এতো মানুষ সামলাতে আমরাই হিমশিম খাই।
রমজানের আগেই দেশের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক দফা। চালা, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ সব পণ্যের দামই বেড়েছে লাগামহীন। এই অবস্থায় টিসিবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে বিস্তৃত পরিসরে ন্যায্যমূল্যের পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় সরকার।
চলতি বছর দেশের করোনা পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকলে নতুন করে আবারও লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথম দফায় এপ্রিল ১৮ দফা বিধিনিষেধ জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। দ্বিতীয় দফা সেটিকে দুই দিন বাড়িয়ে করে ১৩ তারিখ পর্যন্ত। এর পর ১৪ এপ্রিল থেকে টানা আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে।
(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এসআর/ইএস)