বেরোবি শিক্ষককে ভুয়া ফেসবুক আইডি দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২১, ২৩:০২

বেরোবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনীম হুমাইদার নামে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। ভুয়া আইডির মাধ্যমে ভুয়া নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জরিপের জন্য টাকা উত্তোলন করে পেশাগত ও ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাসনীম হুমাইদার ফেসবুকের প্রোফাইলের ছবি ব্যবহার করে হুবহু তার আইডির মতো করে আরেকটি আইডি তৈরি করা হয়। এরপর ওই আইডি দিয়ে মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়ার বিষয়ে অনলাইনে বার্তা আদান-প্রদানের ছবি তৈরি করা হয়। শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে এই কারসাজি করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষিকার।  

এরপর তোফায়েল একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে ফেসবুক সেই ভুয়া কথাবার্তার ছবি পাঠায়। এছাড়াও শিক্ষিকা তাসনীম হুমায়দার নাম করে ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জরিপের নামে ১০০ টাকা করে তুলতে বলা হয়।  

অভিযোগপত্রে তাসনীম হুমাইদা জানান, বিষয়টি তিনি জানার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস অনুভব করেন।

অভিযোগপত্রে তাসনিম হুমাইদা বলেন, মূলত এই কাজটি করার নির্দেশনা পরোক্ষভাবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমানের কাছ থেকেই আসে। কাজটি করতে পারলে পরবর্তীতে তাবিউর রহমানের কোর্সে ভালো মার্কস পাবে, ভালো রেজাল্ট হবে, এ ধরনের কথা বলে তোফায়েল ওই নারী শিক্ষার্থীকে প্রলুব্ধ করে।  

এক প্রশ্নের জবাবে তাসনীম হুমাইদা বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে ও নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্ত যদি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার না পান তাহলে বাধ্য হয়ে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েল বলেন, যে শিক্ষক এই অভিযোগ করেছেন মূলত এটা তার নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউজ করতে বলেন এবং নিউজ না করার জন্য ক্লাস রুম এবং পরীক্ষার হলে নানাভাবে হয়রানি করেছেন। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রোণোদিতভাবে করা হয়েছে।

স্ক্রিনশটের বিষয়ে কারো সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল তোফায়েল জানান, আমি কিছু জানি না। এটা নিয়ে আমার সঙ্গে কারো কোনরকম কথা হয়নি। এ ব্যাপারে আমি দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেব।

অভিযুক্ত শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের যে ব্যাচের শিক্ষার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই ব্যাচের একটি ক্লাসও তাসনীম হুমাইদা না নিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু করেছেন। ওই ঘটনাকে ঢাকার জন্য মূলত তিনি আমাকে জড়িয়ে এটা করেছেন। এটা পুরোটাই একটা বিশাল ষড়যন্ত্রের অংশ।

(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/কেএম)