কোম্পানীগঞ্জে ফের উত্তেজনা, হামলা-ভাঙচুর

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২১, ২৩:১৩ | প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল ২০২১, ২২:৪০

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছে একদল দূর্বৃত্ত। এসময় তারা তিনটি বাস ও একটি অফিস ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। এসব ঘটনায় উপজেলায় আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যেকোন মুহূর্তে আবারও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বসুরহাট নতুন বাসস্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার বাসগুলো বসুরহাট নতুন বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখে বাস মালিক সমিতি। রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাসস্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা স্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস ও কার্যালয় ভাঙচুর করে।

আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ অভিযোগ করে বলেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এই হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে অপরিচিত একজন রিসিভ করে জানান স্যার বিশ্রামে আছেন। কথা বলতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাজিম উদ্দিন মিকনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, ভাঙচুরসহ কোম্পানীগঞ্জের সব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ বলে একটি পোস্ট দেয়া হয়। এর জের ধরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫জন সমর্থক মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করে।

মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢুকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা উপজেলা গেইটে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয় পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়।

এসব ঘটনা একটির সঙ্গে অন্যটির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় রাজনীতিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :