সুস্থতার পথে ফরিদা পারভীন
করোনায় আক্রান্ত দেশবরেণ্য লালনশিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা এখন আগের থেকে বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। তিনি বলেন, ‘মাকে এখন কৃত্তিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। করোনা এখনো পজিটিভ হলেও জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ নেই। তবে মায়ের কিডনিতে সমস্যা আছে। বর্তমানে তারই চিকিৎসা চলছে।’
এর আগে ফরিদা পারভীনের ছেলে জানিয়েছিলেন, করোনায় তার মায়ের ফুসফুসের ৫০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে সেই সমস্যাও উন্নতির দিকে বলে জানান ইমাম জাফর নোমানী।
গত ৭ এপ্রিল ফরিদা পারভীনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে সে সময় তার তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকায় তিনি বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এরপর গত সোমবার তাকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন ধরে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
ফরিদা পারভীন মূলত পল্লীগীতি গেয়ে থাকেন। বিশেষ করে তিনি লালন সংগীতের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল সংগীতের জন্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দেশাত্মবোধক গান গেয়েও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
এই কণ্ঠশিল্পীর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা-সুরমা নদীর তটে’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে প্রেমের কী সাধ আছে বলো’, ‘খাঁচার ভিতর’, ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’ ইত্যাদি।
সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীনকে একুশে পদক দেয় বাংলাদেশ সরকার। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে পান ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার। এছাড়া সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে ১৯৯৩ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন।
ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এএইচ