ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ঘুষ নেয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যানকে নোটিশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৬:২০

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ২নং সোনাখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে গরিব-অসহায় দুস্থদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তাই বাধ্য হয়ে ইতোমধ্যে আটজন ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিষয়টি শুনানির জন্য রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-কে একটি স্মারক পাঠিয়েছেন।

এ প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও আটজন অভিযোগকারীকে ২০ এপ্রিল উপস্থিত হবার জন্য একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জের কার্যালয় থেকে গত ১৬-০৩-২০২১ তারিখে একটি স্মারকের মাধ্যমে রায়গঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি শুনানির মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশনা প্রেরণ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১২-০৪-২০২১ তারিখে রায়গঞ্জ ইউএনও অফিস একটি শুনানি (তদন্ত) নোটিশ অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও আটজন অভিযোগকারীকে পাঠানো হয়। সেখানে সবাইকে ২০ এপ্রিল সকাল ১১টায় ইউএনও কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

ভুক্তভোগী সোনাখাড়া ইউনিয়নের গোতিথা গ্রামের বাসিন্দা আ. মজিদ বলেন, সরকার গরিব মানুষদের ঘর দিচ্ছে শোনার পরে আমি চেয়ারম্যান রিপনের নিকট একটি ঘর চাইলে সে টাকা ছাড়া ঘর পাওয়া যাবে না জানিয়ে দিয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে আমি ঘরের আশায় সুদের উপরে ঋণ করে তাকে ১৭ হাজার টাকা দেই। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পাইনি ঘর, বরং ঘর বা টাকা ফেরত চাইলেই পেয়েছি মানসিক নির্যাতন। সেই ঋণকৃত টাকার সুদই দিয়েছি আজ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার টাকা, আসল টাকা তো রয়েই গেছে।

একই গ্রামের উপজাতি গোষ্ঠীর নিশি কান্ত মালীর স্ত্রী শ্রীমতী মালী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিবদের ঘর দিচ্ছে শোনার পরে চেয়ারম্যান রিপনের নিকট একটি ঘর চাইলে সে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে আমি ঘরের আশায় ঋণ করে তাকে ২০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু তিন বছরেও ঘর বা টাকা কোনটাই পাইনি। কিন্তু সেই আসল টাকা বাদ দিয়ে ঋণের সুদ দিয়েছি আজ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার বেশি।

এ বিষয়ে ২নং সোনাখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। নির্বাচনকে সামনে রেখে ও আমাকে সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত করতে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানারকমের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যেহেতু ২০ এপ্রিল ইউএনও মহোদয় তদন্তের জন্য আমাকেসহ সবাইকে নোটিশের মাধ্যমে ডেকেছেন, তাই সেদিনই দেখা যাবে।

রায়গঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজিবুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের কার্যালয় থেকে একটি স্মারকের মাধ্যমে আমাকে ২নং সোনাখাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগটি তদন্তের জন্য বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী ২০ এপ্রিল অভিযোগকারী আটজন ও চেয়ারম্যানকে রায়গঞ্জ ইউএনও কার্যালয়ে উপস্থিত হতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :