ফরিদপুরে করোনায় ৯ দিনে ২১ জনের মৃত্যু
মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে ফরিদপুরে রোগীর সংখ্যা। থেমে নেই মৃত্যের হারও। শুক্রবার ভোরে করোনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে গত ৭ মার্চ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৬০ জন। মারা গেছে ২১জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে প্রাণহানি ঘটেছে ১৪১ জনের।
বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজার ৫৫১। এর মধ্যে শুধু জেলা সদর উপজেলাতেই রয়েছে পাঁচ হাজার ৮২৬। আর মারা গেছেন ৯৪ জন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, ফরিদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মোহাম্মদ রাজিব হোসেন। গত ১৭ মার্চ তার করোনা পজেটিভ হয়। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে মারা যান। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ভেদামারীতে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলায় করোনা আক্রান্তের হার শতকরা ২১ দশমিক ২৬ এবং মত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন বলেন, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১০০ রোগী। এছাড়াও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫৭৪ জন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যেককেই নিজ থেকে সচেতন হতে হবে। তবেই এই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে এবং লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তার বাস্তবায়নের জন্য মাঠ প্রশাসনের সবাই তৎপর রয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় নয় উপজেলাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ১৫টি টিম করা হয়েছে। তারা প্রতিদিনই মানুষকে ঘরে রাখতে এবং সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/কেএম)