মির্জাপুরে রাস্তা পাকাকরণ, অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৪৭

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তা পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ছলিমনগর ভরপাড়া সুইজগেইট হতে যোগীরকোফা পয্যন্ত রাস্তা পাকাকরণ কাজে এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনএইচবি ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তা পাকা করছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার ত্রিমোহন খেয়াঘাট-হাটুভাঙা জিসি ভায়া লতিফপুর ইউপিসি ২ কিলো ৫০ মিটার সড়ক ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজের ট্রেন্ডার আহ্বান করা হয়। এনএইচবি ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত হয়। গত প্রায় একমাস ধরে ইটের খোয়া বিছানোর কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগ উঠেছে, রাস্তায় প্রিকেট ইটের খোয়া ব্যবহারের পরিবর্তে তিন নম্বর ইটের নিম্নমানের ডিফফিল্ড পরিষ্কার করার খোয়া ব্যবহার করছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের পর উপরে প্রিকেট ইটের খোয়া ছিটিয়ে তা ঢেকে দেয়া হচ্ছে। কাজ বাস্তবায়ন স্থানীয় প্রকৌশল অফিসের দায়িত্বে থাকলেও তারা তা ঠিকমত তদারকি করছেন না।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিম্নমানের কাজ করায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারের লোকজন আমলে নিচ্ছে না।

ছলিমনগর গ্রামের বাসিন্দা শাহআলম, শাজাহান সিকদার, ছিবার উদ্দিন, আব্দুল হক সিকদার, ও জুলহাস সিকদারসহ কয়েকজন জানান, তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি একাব্বর হোসেন রাস্তাটি পাকাকরণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এতে তারা খুবই খুশি। কিন্ত ঠিকাদার রাস্তা পাকাকরণ কাজে সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে। এ কাজে বাধা দি‌লেও ঠিকাদারের লোকজন কাউকে তোয়াক্বা করছে না।

কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নকশাকার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামসুদ্দিন নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের লোকজনকে নিষেধ করা হয়েছে। না শোনায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

রাস্তার কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনএইচবি ট্রেডার্সের মালিক নাজমুল হক ভূইয়া মোহনের ভাতিজা মো. মামুন বলেন, স্থানীয় সরবরাহকারী নিম্নমানের ইটের কিছু খোয়া সরবরাহ করেছিল। সেগুলো ব্যবহার করায় স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিল। এখন ভাল খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তবে বারবার চেষ্টা করেও ঠিকাদার নাজমুল হক ভূইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।   

প্রকৌশলী বাবুল হোসেন বলেন, পাকাকরণ কাজে কার্পেটিং নিম্নমানের হলেও কয়েক বছর পর তা মেরামত করা যায়। কিন্ত নিচের লিয়ারের কাজ নিম্নমানের হলে ওই রাস্তা মেরামতও চলে না।

মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়ার পর রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এলএ)