এক বছর ধরে তালাবদ্ধ ফেনী হাসপাতালের আইসিইউ

এম শরীফ ভূঞা, ফেনী
| আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২৪ | প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৫৯

করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ফেনী জেলায় রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আইসিইউর অভাবে মারা যাচ্ছেন সংকটাপন্ন রোগীরা। অথচ ঢাকঢোল পিটিয়ে এ বছর আগে উদ্বোধন করা ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) । সব সময়ই তলাবদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে ইউনিটটি।

হাসপাতালটিতে ফেনীর ছয় উপজেলা, নোয়াখালীর সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, চট্টগ্রামের মীরসরাই ও কুমিল্লার চৌদ্ধগ্রামসহ দূর-দূরান্ত এলাকার মানুষ সেবা গ্রহণ করে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে তাদের কথা চিন্তা করেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৩০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটিতে ৭৫ শয্যায় আইসোলেশন উন্নীত করা হয়। গত বছরের ১৭ মে হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। ইতোমধ্যে আইসিইউ সেবা চালুর জন্য একজন চিকিৎসক ও পাঁচজন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনও চালু হয়নি সেই সেবা।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালটিতে আইসিইউ থেকেও তারা তার সুফল পাচ্ছেন না, তাদের ছুটতে হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামের দিকে। এটি দুঃখজনক।

হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, গত কয়েকদিন আগে আইসিইউর অভাবে তার সামনেই একজন মানুষকে মরতে দেখেছেন তিনি। মারা যাওয়া ব্যক্তিটি এক চিকিৎসকের বাবা ছিলেন।

ট্রাংক রোডের এক ব্যবসায়ী আফলাতুল কাউছার জানান, প্রয়োজনের সময় কাজে না আসলে এই আইসিইউ দিয়ে লাভ কী? সারা দেশে আইসিইউ বেডের সংকট, কিন্তু এখানে ১০টি আইসিইউ বেড থাকলেও মানুষ সেবা পাচ্ছে না। এটি চালু করার দাবি জানান তিনি।

হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ হাসিনা বেগম জানান, আইসিইউতে থাকা রোগীদের সার্বক্ষণিক অক্সিজেন প্রয়োজন। ফেনীতে অক্সিজেন প্রোডাকশন হয় না এজন্য জন্য চট্টগ্রাম থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসতে হয়।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ড. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, আইসিইউর পুরোপুরি ১০ শয্যা চালু না করা গেলেও খুব শিগগিরই দুই শয্যা চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনার সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটরের চেয়ে অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ। নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবার প্রস্তুতি চলছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কডা. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করতে একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক, তিনজন কনসালট্যান্ট ও চয়জন মেডিকেল অফিসার প্রয়োজন। মূলত জনবলের কারণে ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :