শহীদ আব্দুল বেপারী তোরণ পুনর্নির্মাণের দাবি পরিবারের

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩৪ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৮:০০

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পাক হানাদার বাহিনীর বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৯ জন প্রাণ হারান ময়মনসিংহের গফরগাঁও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল বেপারী। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি আবুল হাশেম সেইদিনের ঘটনায় বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগের জন্য বাজারের প্রধান সড়কে শহীদ আব্দুল বেপারীর নামে একটি তোরণ নির্মাণ করেন। পরে তৎকালীন সরকারের শিল্প মন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এটির উদ্বোধন করেন।

সম্প্রতি বাজারের রাস্তা প্রশস্তকরনের কারণে তোরণটি ভেঙে পড়ে। সংসদ সদস্য ফাহ্মী গোলন্দাজ বাবেল তোরণটি পুন:নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদকে ডিও লেটার প্রদান করেন। তবে আজো এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। তোরণটি পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এ শহীদ পরিবার।

আক্ষেপ করে শহীদ আবদুল বেপারীর সন্তান আমিনুল হক কামাল বলেন, ‘তোরণটি ছিল গফরগাঁওবাসীর বিজয়ের স্মারক। সম্প্রতি বাজারের রাস্তা প্রশস্তকরনের কারণে তোরণটি ভেঙে পড়ে। সংসদ সদস্য ফাহ্মী গোলন্দাজ বাবেল তোরণটি পুন:নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদকে ডিও লেটার প্রদান করেন। তবে আজো এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। শহীদ পরিবারের পক্ষে তোরণটি যথা শিগগির পুন:নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সকালে গফরগাঁও বাজারে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উড়তে দেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী হামলা চালিয়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল।

হামলার পর যিনি হতাহতদের উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেন তাদের একজন সমাজ সেবক মীর মোনায়েম সালেহীন সুবল।

তিনি জানান, এ ঘটনার দিন কয়েকটি পাক জঙ্গী বিমান বাজারের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। মুহুর্তের মধ্যেই বোমা আর মেশিন গানের গুলিতে ঝাঁঝড়া করে দেয় বাজারের নিরীহ মানুষদের। ওইসময় অন্তত ১৯ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছিল।

হামলায় নিহত অন্যরা হলেন- পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেনা সদস্য মীর শামছুদ্দিন, রাঘাইচটি গ্রামের আব্দুল মতিন, শিলাসী গ্রামের আব্দুল মজিদ, ছোবেদ আলী, আব্দুল হাই, ইছর আলী, আব্দুল গফুর,কলা মিয়া, ঘাগড়া গ্রামের মীর জিয়াউল হক, ষোলহাসিয়া গ্রামের যমুনার মা, তেতুলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল, ভুলু মিয়া,চংবিড়ই গ্রামের আব্দুল হেলিম,আঠারবাড়ি গ্রামের মংলার বাপ,খারুয়া মুকুন্দ গ্রামের আব্দুল হাই, জন্মেজয় গ্রামের গফুর আলী এবং শ্রীপুর থানার জয়নাল ও ঢাকার গোপেন চন্দ্র্র দেবনাথ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/পিএল)