নাজাতের নসিহত

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩৭

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

তোমাকে যে ধন বিত্ত বেসাত দিয়েছে বিশ্ববিধাতা,
তোমাকে না দিয়ে পরের জন্যে লিখে সে খাতার পাতা-
তিনি যদি দিতেন সেই ধন তুলে আর কারো ভান্ডারে;
তুমিও কিন্তু পড়তে তখন বিত্তহীনের কাতারে।

তুমিও তখন থেকে অনাহারে,
ফিরতে লোকের এদ্বারে ওদ্বারে
ভুগতে তাদের চরম অনাচারে
অপমানে মরে বাঁচতে—
নিজের চোখের জলের ধারা মুখ বুঁজে শুধু মুছতে।
কপাল চাপড়ে অদৃষ্টকে দিন রাত শুধু দুষতে,
ওদের জন্য চরম ঘৃণা মনের গহনে পুষতে।

হয়তো বলবে; “ আমার অধিকারে আছে যা বিত্ত ধন,
শ্রমে ও ঘামে তিলে তিলে আমি করেছি তা অর্জন।
সুযোগকে আমি সঠিক সময়ে কাজেও লাগাতে পেরেছি,
যোগ্যতা আর শ্রম দিয়ে আমি সোনার প্রাসাদ গড়েছি।”

তবে এর মাঝে ফাঁকি কতোটুকু; মিথ্যে কতোটা আছে,
কড়ায় গন্ডায় সে হিসেব রাখেন বিধাতা নিজের কাছে।
সুপথে থেকেও কোটিপতি হওয়া বিরল ব্যতিক্রম,
বানাতে পারে না ধনের কুবের সত্যপথের শ্রম।

তাই বলি,ভার কমাতে চাইলে গরীবের পাশে যাও,
ও গরীব বলেই তুমি ধনবান;
 তাই হয়নি সে তোমার সমান,
তবে তার পাওয়া যতোটা ন্যায্য ততোটাই তাকে দাও-
আর এভাবেই কৃতজ্ঞ হয়ে বিধাতার ক্ষমা চাও।
খালি হাতে যদি দাও-হে ফিরিয়ে গরীবের পাতা হাত,
আখেরাতে তোমার মিলবে না কোনো নাজাতের অজুহাত।
তোমার ধন যে কেবল তোমারই নয়;
গরীবেরও আছে ন্যায্য হিস্যা তাতে,
তোমার মনে সে ভাবের উদয় হলে-
খোদার কৃপায় যেতে পারো জান্নাতে।