তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসী নৌকা ডুবে নিহত ২১

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২১, ২১:৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসী বোঝাই নৌকা ডুবে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে,  যাত্রীবোঝাই নৌকাটি  ইতালির ল্যামপেদুসা দ্বীপে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছিল।

শুক্রবার তিউনিশিয়ার নাগরিক সুরক্ষা সেবার পরিচালক মোউয়ার্দ মেছরি রয়টার্সকে বলেন,  নৌকাটি গতকাল বৃহস্পতিবার শেষরাতে উপকূলীয় শহর সেফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কোস্টগার্ড ২১টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।

আফ্রিকা এবং মধপ্রাচ্যের সংঘাতকবলিত ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশের মানুষ কিছুটা উন্নত জীবনের আশায় ঝূঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যেতে তাদের প্রধান রুট হয়ে উঠেছে তিউনিশিয়ার বন্দরনগরী সেফ্যাক্স। 

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সংঘাত এবং দারিদ্র পীড়িত আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে মানুষ উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দেয়। আর এ ক্ষেত্রে তিউনিশিয়ার বন্দর শহর অন্যতম প্রধান প্রস্থান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে  মানবপাচারকারীরা এসব নৌযান পরিচালনা করে। রাবারের তৈরি ডিঙ্গি কিংবা মাছ ধরার ছোট নৌকায় ইউরোপে আশ্রয় নেওয়ার আশায় আফ্রিকার উপকূলগুলোতে ভিড় জমানো অভিবাসী প্রাথী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ   ভূমধ্যসাগ পথ পাড়ি দেয়। গত মাসে সেফ্যাক্স উপকূলে অভিবাসীবোঝাই একটি নৌকাডুবে ৩৯ জন প্রাণ হারান। গত বছরের জুনে এমন আরেকটি দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। মহামারির প্রকোপ সত্ত্বেও গত বছর ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ৪০৬ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী এবং শরণার্থীর সলিল সমাধি হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/কেআই)