কারওয়ান বাজারে সৌদিপ্রবাসীদের বিক্ষোভ
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন সৌদিপ্রবাসীরা। সৌদি যাওয়ার টিকিটের নিশ্চয়তা করতে না পেরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন তারা।
শনিবার দুপুরের দিকে হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনের কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন প্রবাসীরা। সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া গাড়ি আটকে দেন তারা। এর ফলে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা প্রবাসীদের আন্দোলনে বাধা দেয়নি।
সৌদি প্রবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, লকডাউনের আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তারা। কিন্তু দেশে ফিরে আসার পর লকডাউন ঘোষণা করায় তারা নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারছেন না। এর মধ্যে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
বিমান বাংলাদেশের মতিঝিলের প্রধান অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ ব্যবস্থায় প্রবাসীদের সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিকদের পাঠানোর জন্য ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ তারিখের ফ্লাইটের টিকিটের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এখন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট চলাচল শুরু করতে পারেনি।
তবে বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্লাইট পরিচালনার খবর পেয়ে অনেকেই ঢাকায় বিমান বাংলাদেশের অফিস এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে ভিড় করেছেন। এছাড়া অন্য পাঁচটি দেশের এয়ারলাইন্স ও টিকিট কাউন্টারগুলোতে ভিড় করেছেন। টিকেটের আশায় অনেকেই গতকাল রাত থেকে অপেক্ষা করছেন। টিকিট পাওয়ার জন্য প্রবাসী শ্রমিকরা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নানাভাবে এখানে এসেছেন। কিন্তু, এসে ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ তারা আর কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাননি বলে জানান। সে কারণেই তারা বিক্ষোভ করছেন।
শ্রমিকরা বলছেন, নানা ভোগান্তি পেরিয়ে টিকিটের জন্য এসেছেন তারা। কিন্তু টিকেট কাটতে গিয়ে নতুন করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
মামুন নামে একজন জানান, গত ১৪ এপ্রিল আমার ফ্লাইট ছিল। সেটি বাতিল হয়েছে। পরে সরকার বিশেষ ফ্লাইটে পাঠানোর কথা বলে। বিষয়টি জেনে এই লকডাউনে অনেক ভোগান্তিতে পড়ে ঢাকায় আসি। এসে শুনি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোনো নির্দেশনা নেই। এখন আমরা কী করব? সেজন্য সড়কে বিক্ষোভ করছি।
ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এআর/এমআর