লকডাউনেও থেমে নেই দুদকের কাজ

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৮ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩২

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকাটাইমস

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনে ঘোষণা করেছে সরকার। এরই মধ্যে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি।

দেশের সবকিছু বন্ধ থাকার পরও কিভাবে কাজ করবে দুদক এমন ব্যাখ্যাও দিলেন সংস্থাটির কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান। গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি খবরে তিনি বলেন, সর্বাত্মক লকডাউনেও দুদক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে।

দুদকের এই কমিশনার আরও বলেন, শুধু মাত্র ফাইল বা ডেস্ক ওয়ার্কেই দুদক সীমাবদ্ধ থাকবে না। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি বিভাগ গোয়েন্দা, অনুসন্ধান ও তদন্ত যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাবে।

গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে কোভিড সংক্রমণ প্রথমবারে মত শনাক্ত হলে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদক।

সেই সময় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে জড়িত কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও জেএমআই হাসপাতাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের মো. আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

একইভঅবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব। ওই সময়ে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে শাহেদের বিরুদ্ধে কিছু মামলা তদন্ত এখনও অব্যাহত রেখেছে সংস্থাটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেকের চারটি বাড়ি ও তিনটি প্লটসহ শত কোটি টাকার সম্পদেও সন্ধানও ছিল বেশ আলোচিত। চলতি বছরের স্বাস্থ্যের এই গাড়ি চালক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনে দুদক।

অন্যদিকে কোভিড এর সময় সারা দেশের ত্রাণকার্যক্রম অনিয়ম ও আত্মসাতে জড়িত ৯৪ জন ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসে তদন্তে নামে সংস্থাটি।

একই সঙ্গে অতিমারিতে কাজ করতে গিয়ে ঝুঁকির মুখেও পরেছেন দুদকের কর্মকর্তারা। গত বছরে কোভিড আক্রান্ত হন ১০৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর তাদের মধ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক পরিচালকসহ তিনজন। চলতি বছরেও নতুন করে আরও ২১ কর্মকর্তা কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন।

কোভিড আক্রান্ত এক সহকারী পরিচালক ঢাকাটাইমসকে বলেন, সবার আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই দুদকের কাছে। তবে, চলতি বছরে অন্তত পঞ্চাশের বেশি কর্মকর্তা কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থাতেও দুদক যথা সম্ভব তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এসআর/ইএস)