করোনা ও জনপ্রতিনিধি-১

‘জনগণ কথা শোনে না, এজন্যই এই অবস্থা’

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২১, ২১:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার বা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মানার প্রবণতা জনগণের মধ্যে অনেকাংশেই কম বলে আজকের পরিস্থিতি, এমনটাই মনে করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফছার উদ্দিন খান।  সর্বাত্মক লকাডাউনেও পাড়া-মহল্লায় মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

চলমান লকডাউনে উত্তর সিটির এক নম্বর ওয়ার্ডের পরিস্থিতি জানতে চাইলে ঢাকা টাইমসকে তিনি এসব কথা বলেন।

আফছার উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। চলমান লকডাউনটা সবার জন্য। আমাদের লোকজন আছে, তারা লকডাউন কার্যকরের বিষয়টি তদারকি করছে। কিন্তু জনগণ সরকারের বা কারও কথা শোনে না। এই জন্যই এ অবস্থা।’

নগর ভবন থেকে কাউন্সিলরদের কী ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘যার যার এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আমাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমি এখন বের হবো। আমি সব মহল্লায় যাব।’

উত্তর সিটির এক নম্বর ওয়ার্ডটি করপোরেশনের এক নম্বর অঞ্চলের অধিভুক্ত। ওয়ার্ডটি উত্তরা ছয় নম্বর সেক্টর, উত্তরা মডেল টাউন এলাকা নিয়ে গঠিত। এর উত্তরে টঙ্গী ব্রিজ, পশ্চিমে হরিরামপুর ইউনিয়ন, পূর্বে দক্ষিণ খান ও দক্ষিণে বিমানবন্দর অবস্থিত। ওয়ার্ডটির আয়তন ৬ দশমিক শূন্য ৯৫ বর্গকিলোমিটার।

বিশাল আয়তনের ওয়ার্ডটিতে প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বসবাস। লকডাউনের কারণে ওয়ার্ডটির মূল সড়কে মানুষের চলাচল কম। তবে পাড়া-মহল্লায় মানুষের ভিড় যেন কমতেই চায় না।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, ‘মহাসড়কে লকডাউন চলছে। কিন্তু পাড়া-মহল্লার মানুষ ঠিকই মানুষ বের হচ্ছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করব কীভাবে? বল প্রয়োগ করার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই। সরকার যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে তারা করতে পারে। আমরা শুধু বোঝাতে পারি।’

লকডাউন বাস্তবায়নে নিজ উদ্যোগ সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রাস্তার মুখের গেট বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতিটি মসজিদের মাইকে মাইকিং করছি, আলাদাভাবে মাইকিং করছি। একটা মহল্লা থেকে একটা মাত্র রাস্তা দিয়ে বের হওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সেই রাস্তায়ও সিকিউরিটির ব্যবস্থা করেছি। এর বেশি কিছু তো আমরা করতে পারছি না।’

চলমান লকডাউনের সুফল আসবে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আজ চতুর্থ দিন। এই চার দিনের সুফল এখনই আসবে না। আরও চার দিন পর আসবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/কারই/জেবি)