করোনা চিকিৎসায় বড় হাসপাতালে যা থাকছে
গতবছর করোনার সংক্রমণ বাড়ার পর মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্মিত বহুতল মার্কেটটি করা হয়েছিল আইসোলেশন সেন্টার। পরে রোগীর চাপ কমায় সেখানে শুরু হয় বিদেশগামী মানুষের করোনার পরীক্ষা। কিন্তু এবছর করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সেটিকে করোনা চিকিৎসার বড় হাসপাতাল তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়। একহাজার শয্যার পুরো হাসপাতালে চলবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা।
রবিবার হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা রোগীদের জন্য সব চেয়ে বেশি জরুরি আইসিইউ ব্যবস্থাসহ যেসব সুযোগ সুবিধা থাকছে এখানে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে কোভিড রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদানের জন্য এটি চালু করা হলো। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে থেকে পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই হাসপাতালটির জনবল, যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্রসহ দৈনন্দিন নির্বাহের সামগ্রীক ব্যয়ভার বহন করবে। সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীগণ রোগীর সেবা কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবেন। হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে থাকছেন ঢাকা মেডিকেলের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডিএনসিসির করোনা হাসপাতলে ২১২টি আইসিইউ যুক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজধানীতে যত সংখ্যক আইসিইউ, তার সমপরিমাণ আইসিইউ এই হাসপাতালে তৈরি হয়ে গেছে।
২১২ শয্যার অত্যাধুনিক কোভিড আইসিইউ বেডের বাইরে ২৫০ কোভিড বেড (HDU, Central Oxygen ও High Flow Nasal Canulla ) ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকছে। এখানে ৫০ শয্যার জরুরি বিভাগ ও ০৬ শয্যা ট্রায়াজ বেড রয়েছে।
তাছাড়া ৫৩৮ কোভিড আইসোলেটেড কক্ষ থাকবে যেখানেও সিলিন্ডার অক্সিজেন ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর থাকবে। হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০০০ শয্যার কোভিড রোগীর জরুরি চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাসপাতালটিতে আধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া ৫০০ কেভিএ জেনারেটর ও ১০০০ কেভিএ হাই ভোল্টেজ।
এছাড়া বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপনের জন্য ৯০০০০ লিটার ওয়াটার রিজার্ভার থাকছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/বিইউ/কেআর)